মাত্র পাঁচ হাজার টাকার দাবি। টাকা দিয়ে
দেওয়ার পরেও হৃদয় গলল না প্রতিবেশী সাজিদের। দাবি করা টাকা দিতে দেরি করার অভিযোগ প্রতিবেশী
দুই নাবালককে খুন করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বদাঁয়ুর বাসিন্দা মোঃ সাজিদের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীর কাছে স্ত্রী গর্ভবতী এই অজুহাত দেখিয়ে
অভিযুক্ত পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছিলসে। তা দেওয়ার পর চা করে খাওয়াতে বলে সাজিদ। সেই সময় ছাদে গিয়ে আয়ুষ ও আহানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মোহাম্মদ সাজিদ। তাঁদের ছোট ভাই পিয়ুষের হাতেও
একই ধারালো অস্ত্র (ক্ষুর) দিয়ে হামলা করে অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বঁদায়ু জেলায়।
এরপর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে তৎপর হলে অভিযুক্ত পালিয়ে
যায়। পরে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ধরতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
পাল্টা পুলিশের গুলিতে প্রাণ যাত সাজিদের। উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফ
থেকে জানানো হয়েছে,“সাজিদ নিজের
গর্ভবতী সন্তানের প্রসবের জন্য ৫০০০ টাকা ওই পরিবারের কাছ থেকে ধার চেয়েছিল। তা দেওয়ারপরে ওই বাড়ির ছাদে
চলে যায়। সেখানে তিনজন বাচ্চা খেলছিল সে দুজনকে ধরে ক্ষুর
দিয়ে গলা কেটে খুন করে এবং তৃতীয় শিশুকেও জখম
করে। শিশুদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের দিকে এগোলে অভিযুক্ত সাজিদ পালিয়ে যায়। রাস্তায় জড়ো হয়ে
যাওয়া জনতা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে ঠেলে শেখুপুরের জঙ্গলেপালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে
পৌঁছয় এবং সাজিদকে ধরার চেষ্টা করলে সাজিয়ে বলে আমি আমার কাজ করে দিয়েছি এবার
আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কিন্তু তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে
পুলিশের উপর আক্রমণ করে পাল্টা পুলিশ গুলি চালায় এবং মৃত্যু তার হয়।
অবশ্য পরিবারের অভিযোগ সাজিদ একা এই ঘটনা ঘটায়
নি।
তার সঙ্গে তার ভাই জাভেদ লিপ্ত ছিল এ বিষয়ে
পুলিশ জানিয়েছে,“পরিবারের থেকে
পাওয়া অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং জাবেদকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সাজিদ ও জাভেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,
সাজিদ খুবই উগ্র মেজাজের ছিল। পড়াশুনা করত না। সেলুনে কাজ করলেও খারাপ সঙ্গত ছিল ওর।
তবে জাভেদকে তাঁরা দোষী মনে করেন না। আরও জানা গেছে পোস্টমর্টেম শেষে দেহ পরিবারের
হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় চাপা ক্ষোভ আছে। প্রচুর পুলিশ ও আধা সেনা মোতায়েন করা
হয়েছে।