নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে সবচেয়ে বেশি উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। এসএসসি’র গ্ৰুপ সি, গ্ৰুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগে শূন্যপদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগের অভিযোগ আগেই ছিল। ছিল বেআইনি নিয়োগের অভিযোগও। ফলে বারংবার সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন চালিয়েছেন। এবার এই বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে আনলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে শেষ হয়েছে এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলেছে। প্রতিদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এই মামলা। শুনানি শেষ হল বুধবার। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। রায়দান কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতে রায়েরই ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিন এই প্রসঙ্গে বিশেষ বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত। কারণ, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।”
আইনজীবীদের একাংশের মতে, শূন্যপদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগের যে ঘটনা ঘটেছে তা বাতিল করা হতে পারে। সম্ভবত, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন বিচারপতি বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বেঞ্চ।
উল্লেখ্য টানা সাড়ে তিন মাস ধরে সওয়াল – জবাবের পর অবশেষে শেষ হল SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রায়দানের জন্য এখনও প্রায় আড়াই মাস সময় রয়েছে হাইকোর্টের হাতে।