ভোট যুদ্ধে জিততে দিল্লী থেকে স্ত্রীকে নিয়ে
ঘাঁটি গেড়েছেন দুর্গাপুরে। ঘরের হেঁশেল চালাতে চাই শাক, সব্জি কিংবা নিজের প্রিয় মাছ। বৃহস্পতিবার জনসংযোগ ও বাজার এক সঙ্গে
সারলেন বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি
আজাদ। মন্ত্রী ও বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বাজারে দুর্গাপুর ইস্পাত
নগরীর চন্ডীদাস বাজারে ঢুকলেন। টাটকা সবজি আর ইলিশ কিনলেন পরিবারের জন্য। সকাল
সকাল মানুষের মন ছুঁতে সবজি বাজারেই জনসংযোগ সারলেন তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি
আজাদ। বাজারের শনি মন্দিরে প্রণাম করে রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায়
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে সঙ্গে
নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ন‘টায় সাইকেল চালিয়েই পৌঁছে গেলেন
চন্ডীদাস বাজারের ফলের দোকানে। সেখানে আপেল, লেবু, বেদানা, কলা কিনে সবজি বাজারে ঢুকেই কিনলেন উচ্ছে,
আলু, পটল টমেটো, শাক
কাঁচা হলুদ আদা থলেতে ভোরেই মাছ বাজারে ঢুকে গেলেন। সেখানে বাঙালির প্রিয় ইলিশ
কিনে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বিরোধীদের অপপ্রচারের কথা তুলে ধরলেন মানুষের
কাছে। বিরোধীরা বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি এখনো।
কিন্তু মাঠে নেমে প্রচার ও জনসংযোগ করে এক ধাপ এগিয়েই রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী
কীর্তি আজাদ। তারপরেই তিনি বললেন,”লম্বা সময়ের জন্য
বিহারের দারভাঙ্গা থেকে পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুরে এসেছি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছি। ছোট থেকেই
ডাংগুলি খেলা আর সাইকেল চালানোর অভ্যাস আছে। তাই শরীরচর্চা করতে সাইকেল চালিয়েই
বাজারে এলাম।” তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ
চক্রবর্তী ও মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও। টাটকা সবজি ফল কিনলেন শরীরকে সুস্থ রাখতে।
মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের অপপ্রচারের নানান কথা তুলে ধরলেন। জোড়া ফুলে ভোট
দেওয়ারও আবেদন রাখলেন। বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “১৯৮৩
সালে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছিলাম। তেমনই বিরোধীদের উইকেট ফেলে লোকসভায় ছক্কা মারব।”