মাত্র কয়েকদিন হল লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ
করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ফলে দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এই
পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন প্রথমেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয়।
তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পান সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককে
সরানোর নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের
জেলাশাসকদের বদলি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গুজরাত, পাঞ্জাব
এবং ওড়িশার জেলাশাসকদেরও সরানো হয়েছে।
সরানো হল রাজ্যের ৪ জেলাশাসককে এই চার
জেলাশাসকের মধ্যে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালের নাম আছে। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল দেশের যে সমস্ত জেলার জেলাশাসকরা আইএএস
ক্যাডারের নন, তাঁদের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার, তাই
তাঁকে সরিয়ে কোনও আইএএস অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে
ঝাড়গ্রাম ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম
জেলার জেলাশাসককে বদল করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাত
বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার জন্য,
নির্বাচন কমিশন যেটা ভালো ভেবেছেন, সেটা
করেছেন। হয়তো অভিযোগ ছিল, সেজন্যই নির্বাচন কমিশন মনে করল
তাই পরিবর্তন করেছেন। পরিবর্তন করলে জঙ্গলমহলে সুষ্ঠুভাবে ভোট নির্বাচন করানো যাবে”।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী রেখা সরেন বলেন, “দেখুন পুরাপুরি ভাবে বোঝা গেল নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা মতো কাজ করছেন।
নির্বাচন কমিশন বিজেপির দালালি করছে”।
ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএমের সম্পাদক প্রদীপ সরকার
বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটা লিস্ট দেয়
জানি, সেই অনুযায়ী করতে হয়। তিন বছরের বেশি বা তিন বছরের
কাছাকাছি কোন প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেগুলো করে থাকে। সংবিধান মেনে যিনি
আসবেন তিনি যেন কাজকর্ম করেন। সমস্ত জনগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তার
ব্যবস্থা করতে হবে যিনি আসবেন। আর কে এলেন
কে গেলেন সেটা নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ৪
জেলাশাসককে সরাল নির্বাচন কমিশন।পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব
মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের জেলাশাসকদের বদলি করা
হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গুজরাত, পাঞ্জাব এবং ওড়িশার
জেলাশাসকদেরও সরানো হয়েছে।
সরানো হল রাজ্যের ৪ জেলাশাসককে