নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের দশ বছরের
সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল হাওড়া আদালত। দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে মামলা চলার পর
হাওড়া আদালতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। দোষী লক্ষ্মীকান্ত
মাইতি ওরফে লোকোকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১
বছরের সাজা ঘোষণা করেন হাওড়া দেওয়ানী, ফৌজদারি ও
দায়েরা আদালতের পকসো কোর্টের স্পেশাল বিচারক সৌরভ ভট্টাচার্য।
জানা গেছে এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন
মুখ্য সরকারী আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালের ২২ জুন। সেদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রায় ৫ বছরের এক নাবালিকা তার বাবাকে ডাকার জন্য
বাইরে গিয়েছিল। তখন অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে বিস্কুটের লোভ
দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে এসে সে ওই নাবালিকাকে
ধর্ষণ করে। এদিকে দীর্ঘক্ষণ মেয়ে বাড়িতে না আসায় মেয়ের খোঁজে বের হন নাবালিকার মা।
খুঁজতে খুঁজতে তিনি দোষীর বাড়িতে মেয়ের খোঁজ পান। সেখান থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে
আসেন। পরে এই ব্যাপারে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে
লোকোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মামলা চলে। মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষ্য দেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো মামলার ৬ ধারায় মামলা করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর মামলা চলার পর
বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।