নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কলকাতার গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এগারোয় দাঁড়ালো। শুক্রবার ভোররাতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় আরও একটি দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত গার্ডেনরিচকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০। শুক্রবার ভোররাতে আবদুল রউফ নিজামী ওরফে শেরু নিজামের দেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন ‘শেরু চাচা’ নামেই। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যাক্তির দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর ছেলে আব্দুল রউফ নিজামি দেহটি শনাক্ত করেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরে শেরু নিজামের খোঁজ পড়লে শেরুর মোবাইলে ফোন করেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। ফোন ধরে জবাবও দেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকেই শেরু ফোনে বলেছিলেন, ‘‘আমি বেঁচে আছি। আমার সঙ্গে আরও কয়েক জন আটকে। তাড়াতাড়ি বার করো।’’ এর পরেই ফোন বন্ধ হয়ে যায় তাঁর।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল যে, উদ্ধারকাজ প্রায় শেষের পথে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলবে। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়েই শুক্রবার ভোরে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই, রবিবার মধ্যরাতে কলকাতার গার্ডেনরিচে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ ৫-তলা বহুতল। কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে গার্ডেনরিচের ফতেহপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে এই বিপর্যয় ঘটে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত গার্ডেনরিচকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০। শুক্রবার ভোররাতে আবদুল রউফ নিজামী নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এরপর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।