নিউজ ডেস্ক: নারকেলডাঙায় একটি বেআইনি নির্মান ভেঙে ফেলতে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শনিবার থেকেই ভাঙার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কোনও পক্ষপাত না করে আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া উচিৎ বলেই জানালেন স্থানীয় কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন তা মানবে। আমি নিজেই বেইয়ানী নির্মাণের পক্ষে নই।”
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নারকেল ডাঙা থানা এলাকার ৩ডি/এইচ/৭ এম এন চ্যাটার্জি সরনিতে কোনও অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে আস্ত একটি ছয় তলা বিল্ডিং। রাতারাতি ওই নির্মাণে বসতিও গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি পুর-প্রসাসনের নজরে আসাতে ভাঙার জন্য আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করে পুরসভা। কিন্তু চেষ্টা করলেও ওই বিল্ডিংটি খালি করা যায়নি দাবি পুরসভার।
মামলার গত শুনানিতে পুরসভা জানায়, পুলিশের গড়িমসি রয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ। তার প্রেক্ষিতে নারকেলডাঙা থানার ওসি কে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের নির্দেশে এদিন হাজির হয়ে ওসি জানান, “বাড়িটি সম্পূর্ণ ফাঁকা রয়েছে। সেখানে কেউ থাকে না।” রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বলা হয়েছে পুরসভার অভিযোগ ছিল পুলিশ সহযোগিতা করছে না। এই অভিযোগ মিথ্যে, ভিত্তিহীন। ৪ জানুয়ারি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁকা করার কোনও নির্দেশ ছিল না। ৬ জানুয়ারি পুরসভা বাড়ি ভাঙতেও শুরু করে। তখন থেকে কেউ ওই বাড়িতে থাকে না।”
তার প্রেক্ষিতেই ওই নির্মাণ ভাঙতে সময় বেঁধে দেয় আদালত। এদিকে ওই বাড়ির একতলার বাসিন্দা বলেন, “নির্মানের গ্রাউন্ড ফ্লোর নিয়ম মেনেই হয়েছে। তাই স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।” তারপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি এই নির্মান কোনও দিন আপনার উপরেই ভেঙে পড়ে, তখন কে বাঁচাবে আপনাকে ?” যদিও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন শনিবার ফের ভাঙা হবে। পুলিশের উপিস্থিতিতেই হবে।