ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার
জীবনতলা থানার মাঠের দিঘী এলাকা। মাঠের দিঘী এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মারামারিতে
আহত হয়েছেন দু পক্ষের প্রায় সাতজন। যাদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপি চারজন
বলে দাবি করা হয়েছে দলের তরফ থেকে।
স্থানীয়
ও পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল বিজেপি একে অপরের মধ্যে
গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে রবিবার সকালে। আর সেই ঘটনায় আহত হয়েছে মোট সাতজন। ক্যানিং
হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক
মন্ডল সভাপতি অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে তৃণমূলের দুজনকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের
মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মন্ডল এর নেতৃত্বে ব্যাপক পুলিশ যায় ওই এলাকায়।
এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
বিজেপির
জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দারের অভিযোগ,
সরকারি অনুমতি নিয়ে ওই এলাকায় একটি কর্মী সভার করা পরিকল্পনা
করছিল আমাদের দলের কর্মীরাই। আর সেখানেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে আক্রমণ
চালিয়েছে। প্রশাসন কে বারবার জানিয়েও তারা কোনভাবেই আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে
এগিয়ে আসেনি।
অন্যদিকে তৃণমূলের ক্যানিং পূর্বকেন্দ্রের
বিধায়ক শওকাত মোল্লা বলেন, আমাদের দলীয় কর্মীরা
মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যখন ফিরছিল তখনই বিজেপির লোকজন তাদেরকে কুৎসিত ভাষায়
আক্রমণ করে। সেই থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। ঘটনা আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি কারণে
ঘটনাটা ঘটেছে।