বিজেপি বুথ সভাপতির নাবালিকা ভাইজিকে ধর্ষণের
অভিযোগ উঠল
এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা নাবালিকার জ্যাঠামশাই
স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি। তার অভিযোগ রাজনৈতিক
প্রতিহিংসায় এই
ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দাদার মৃত্যুর পর পরিবারকে তিনিই দেখাশোনা করেন,
গতকাল সন্ধ্যায় কিছুক্ষণের জন্য কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগ
নিয়েছে ওই তৃণমূল কর্মী। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল
চক্রবর্তী বলেন ভারতীয় দণ্ডবিধির সর্বাধিক যে শাস্তি হয় তা দেওয়া দরকার। তবে তা না হলে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আন্দোলন
শুরু করবে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় সারা বাংলায়
সকলেই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু বিজেপির জানা উচিত তৃণমূল কর্মী বলা অভিযুক্ত আদৌ কোন
রাজনৈতিক পদে আছে কিনা। আসলে সামনে লোকসভা
নির্বাচনে যেকোনো ঘটনায় নিজেদের প্রচারের আলোকে আনতে এই মিথ্যে অভিযোগ। তবে
ধর্ষকের শাস্তি আমরাও দাবি জানাই, কিন্তু এ ধরনের একটা নোংরা
ঘটনায় রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ
করে বিক্ষোভ সাংসদ ,বিধায়কদের। ভারতীয় সংবিধানের
সর্বোচ্চ ধারায় দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং অতীতে বিভিন্ন ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ যাতে বিষয়টিকে
অন্যভাবে দেখাতে না পারে তার দাবিতেই মূলত এ দিন বাগদিয়া এলাকায় পথ অবরোধ করে
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ বিজেপি জেলা সভাপতি
তথা রানাঘাটের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের
প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান বিজিবি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার পঞ্চায়েত সমিতি সহকারী
সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী সহ বহু বিজেপি নেত্রী স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এই ঘটনার
প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের বিধায়ক
সহ কর্মী সমর্থকরা।