রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আপত্তি ও বিতর্কের
মধ্য দিয়ে শেষ হলো কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠা। রাজ্যপাল তথা আচার্য সি বি আনন্দ বোসের
উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান হয়। তবে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকার আগে রাস্তায়
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন ওয়েব কুপার নেতৃত্বে কালো পতাকা
দেখানো হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা
দপ্তরের অনুমতি নেই এই সমাবর্তনে। একতরফা ভাবে রাজ্যপাল এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি
করাচ্ছে অস্থায়ী উপাচার্যকে সামনে রেখে। সমাবর্তন নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
কিন্তু যেভাবে সমাবর্তন হচ্ছে সেই পদ্ধতি নিয়ে তাদের তীব্র আপত্তি রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে আমন্ত্রণ করা যেত কিন্তু করা হয়নি। আন্দোলনকারীরা
রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর এই কালো পতাকা ইস্যুতে
সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের এক্তিয়ার
রয়েছে আন্দোলন করার। তারা প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে
বিপথে পরিচালিত করা হচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে। তিনি
হাইকোর্টের একটি নির্দেশ নামাকে সামনে রেখে দাবি করেন ইউজিসির যে নিয়ম তা রাজ্য
উচ্চ শিক্ষা দপ্তর মানছে না। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ বা
বরখাস্তের সম্পূর্ণ অধিকার একমাত্র রয়েছে আচার্য বা চান্সেলারের। রাজ্যের কোনও
এখতিযার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার। তিনি বলেন কাজী নজরুল
বিশ্ববিদ্যালযয়ে প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে যে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছি। যে বিশ্ববিদ্যালয় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল
সেখানে কোনও রকমের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেননি। শেষপর্যন্ত
আমাকে ভূমিকা নিতে হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় সচল হয়েছে এবং স্বাভাবিক অবস্থায়
ফিরেছে।