ফের ক্ষমতায় এলে বাংলার
মানুষকে দুর্নীতির সব টাকা ফিরিয়ে দেবেন। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী। বুধবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোন করেছিলেন তিনি।
রাজমাতাকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে ক্ষমতায় ফিরলে প্রথমেই তিনি বাংলার মানুষকে
দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আইনি বিকল্পগুলির খোঁজ করবেন। এতদিন বাংলায় বিভিন্ন
দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি যে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তা কীভাবে
বাংলার মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তার আইনি উপায় খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন মোদী।
এই কথোপকথনে
কৃষ্ণনগরের রাজমাতাকে বেশ কিছু পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার বিভিন্ন
পরিস্থিতি সম্পর্কে অমৃতার কাছে জানতে চান তিনি। ওঠে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী
মহুয়া মৈত্রর প্রসঙ্গও। আর স্থানীয়রা মহুয়াকে নিয়ে কি ভাবছেন তা রাজমাতার কাছে
জানতে পেরেই হেসে ফেলেন মোদী।
অমৃতাকে ‘জোশ’ নিয়ে
নির্বাচনের ময়দানে নামার বার্তা দিয়েছেন মোদী। তবে কৃষ্ণনগরের মানুষের কাছে অমৃতা
‘রানি মা‘ নামেই পরিচিত। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের
সদস্য তাঁর স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায়। অমৃতার জন্ম ১৯৬১ সালে। বিয়ে হয় ১৯৮১ সালে।
কলকাতাতেই পড়াশোনা তাঁর। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পরে
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা করেন রানি বিড়লা কলেজ থেকে। এরপর স্নাতকের পাঠ
নেন কলতাকার লরেটো হাউস থেকে। টিচার্স ট্রেনিং কোর্সও করেছিলেন তিনি। পরে কলকাতার
প্র্যাট মেমোরিয়ার স্কুল থেকে মন্টেসরি কোর্সও করেন। তারপর পেশা হিসেবে বেছে
নিয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনিং-কে। রাজ পরিবারের সদস্য হলেও বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে
তিনি কলকাতায় থাকেন। তবে বাড়ির কোনও উৎসব হলেই কৃষ্ণনগরে চলে যান।
কিন্তু, তাঁর পরিবারের কেউই এতদিন সরাসরি রাজনীতিতে পা রাখেননি। অমৃতাই প্রথম। আর
রাজনীতির সেই আনকোরা প্রার্থীর উপর ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির। মোদী গ্যারান্টিকে
পাথেয় করেই তাঁকে ভোটের ময়দানে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
তাতেই আপ্লুত কৃষ্ণনগরের রাজমাতা!