তিনি অসুস্থ। শীর্ণকায় শরীর। বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
পরে দিল্লী গিয়ে জানিয়েছিলেন বিজেপিতেই আছেন। অসুস্থতার জেরে রাজনীতি থেকে বহু দূরে
আছেন এখন কিন্তু রাজনীতি তাঁকে ছাড়ছে কোথায়? শুক্রবার দুপুরে ফের
একবার বঙ্গ রাজনীতির একসময়কার চাণক্য বলে পরিচিত মুকুল রায় রাজনৈতিক চর্চার পাতায়।
শুক্রবার প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎ তাঁর বাড়িতে
যান ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করে তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে পুষ্প স্তবক দেন | মুকুল
এবং অর্জুনের এই সাক্ষাৎকার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে অর্জুন সিং জানান,
‘ওঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলাম। তিনি আমাকে উত্তরীয়
পরিয়ে দিলেন‘।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের হয়ে
রণ-কৌশল সাজানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মুকুল রায়। ২০২১
তার সময়েই বিজেপি আশানুরূপ ভাল ফল করেনি। এরপর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে
আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৪ সালে যখন
ভোটের ডঙ্কা বেজেছে, সেই সময় রাজনীতির ময়দান থেকে গায়েব এই দাপুটে রাজনৈতিক নেতা। মাঝে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেছিলেন,
আবার কিছু সময় দিল্লিতে কিছু কথাবার্তা বলে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন।
তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করছেন, “বাবার
শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, সত্যি তাঁর চিকিৎসা চলছে। মুকুল এবং অর্জুনের সম্পর্ক সমীকরণ কারও অজানা নয়। মুকুল রায় যখন তৃণমূলে
প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তখনও বিজেপিতে অর্জুন। সেই সময় তিনি এই নেতাকে তোপ দেগে
বলেছিলেন, ‘মুকুল রায় বরাবর স্বার্থের পলিটিক্স করে এসেছেন।
বিজেপি ক্ষমতায় এল না বলে চলে গেলেন। ওঁকে কেউ চিনুক না চিনুক আমি চিনি।‘ এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে মুকুল এবং অর্জুন সাক্ষাৎকারে
কি অর্জুন কিছু লাভবান হবেন ?