ট্রাকের ধাক্কায়
মৃত্যু হল শ্রমিকের। দেহ পাচারের অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের
বিরুদ্ধে। ক্ষোভের জেরে কর্মীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কারখানায়। আধিকারিকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ব্যাপক
উত্তেজনা কাঁকসার বেসরকারি কারখানায়। এমনকি স্থানীয়রাও কারখানার ভেতর ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কারখানার ভেতর মৃতদেহ রেখে
ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গেছে মৃত যুবকের নাম সুজয় বিশ্বাস (২৬)। তিনি কাঁকসার গোপালপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুজয় বিশ্বাস গোপালপুর
শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় নাইট শিফটের কাজে যোগ দেন।
রাতে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা চত্বরের ভেতর শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রাত
সাড়ে এগারোটা নাগাদ কারখানার ভেতরেই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুজয়কে
ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়রা খবর পেয়ে কারখানার ভেতর ঢুকে
যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর
পর মৃতদেহ চার চাকার গাড়িতে করে অন্যত্র গায়েব করার পরিকল্পনা ছিল কারখানা
কর্তৃপক্ষের। ততক্ষণ স্থানীয়রা কারখানার ভেতর ঢুকে যায়। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো
হয় ওই চার চাকার গাড়িটি এবং ট্রাকটি। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে
পৌঁছায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবং পূর্ণাঙ্গ
তদন্তের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। শনিবার সকাল পর্যন্ত কারখানা
কর্তৃপক্ষের কোন আশ্বাস না মেলায় মৃত্যু দেহ রেখেই চলছে বিক্ষোভ। যতক্ষণ না
পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতিপূরণ এবং সঠিক ব্যবস্থা না নিচ্ছে
ততক্ষণ পর্যন্ত মৃতদেহ রেখেই বিক্ষোভ চলবে বলে জানান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছান
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করেন তিনিও।
কেন যুবকের দেহ গায়েব করা হচ্ছিল সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের নিরাপত্তার
গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে এখনও বিক্ষোভ চলছে।