রাতের অন্ধকারে ফালাকাটায় অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় পুড়ল পাঞ্চটি বাড়ি। বিজেপি প্রার্থী এলাকায় সহমর্মিতা জানাতে গেলে প্রার্থীকে
বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা
ব্লকের দেওগাও গ্রামপঞ্চায়েতে পূর্ব ঝাড়বেলতলি এলাকায়। আগুন লাগার ঘটনায় একটি মোটরবাইক ও একটি সাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই
এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। ওই বাড়িতে
যান তৃনমূলের ব্লক সভাপতিও। ঘটনাস্থলে গিয়ে পাচটি বাড়ির লোকই বিজেপি কর্মী সমর্থক
বলে দাবি করেন। বিজেপি প্রার্থী নাম না করে
ফালাকাটা ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় দাসের নাম উল্লেখ করেন তার
দাবি ব্লক সভাপতির নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে। এই কথা বলার কিছুক্ষন বাদেই ঘটনাস্থলে
আসেন বিজেপির ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন তার সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন
তৃনমুল কর্মীরা। সেখানে বিধায়কক গো ব্যাক স্লোগানও দেন
তৃনমূল কর্মী সমর্থকগন।
তৃণমূলের ফালাকাটা
গ্রামের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, “ যদি বিজেপির নেতারা
বলে থাকেন আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। তাহলে হয়ত ওরাই লাগিয়ে
দিয়েছে। কারণ যাদের ঘর পুড়েছে তারা আমাদের দলের সদস্য। আমরা খবর পেয়ে এখানে পৌঁছে গেছি।রাতের অন্ধকারে কোন দুষ্কৃতী হয়ত লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা তো কেউ দেখেনি। রামানন্দ দাস
তৃণমূলের নেতা আমার সঙ্গে সারাক্ষণ থাকে। ছুটি দাস তার ছেলের
বাইক পুড়ে গেছে। এরা সকলেই আমাদের দলের কর্মী।তৃণমূল
কর্মীর বাড়িতে কে আগুন লাগাবে লাগালে বিজেপি লাগাবে। কিন্তু মনে হয় অভিসন্ধি মূলক ভাবে এই৯ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আগুন তো অবশ্যই কেউ না কেউ লাগিয়েছে।”অন্যদিকে স্থানীয়
বাসিন্দা রামানন্দ দাস বলেন,“অন্ধকারের
সাহায্য নিয়ে কেউ টেবিল চেয়ার বাইক সবকিছুতেই
আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সকালবেলায় যখন পরিষ্কার করতে যাই তখন গিয়ে দেখি আগুন
লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশেপাশের পাঁচটি বাড়িতে আগুন
লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে কখন আগুন লাগিয়েছে কেউই
টের পায়নি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ একটু আগে এসে তদন্ত করে গেছে। এই ধরনের ঘটনা
এর আগে কখনো হয়নি।” স্থানীয় বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন,“এই ঘটনা তৃণমূল ঘটিয়েছে। পুলিশ সবকিছুই জানে। তৃণমূলের লোকেরাও জানে কে করেছে, কখন করেছে।”