রাজ্যের অসহযোগিতার
জন্য কাজ দ্রুত শেষ করা যাচ্ছে না অভিযোগ কলকাতার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। কলকাতা
শহরতলী সংলগ্ন বেশ কয়েকটি মেট্রো রেলের প্রকল্পের কাজ আটকে আছে। এমনকি যে কটি মেট্রো স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেখানে যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশন লাগোয়া
কিছু সহকারী কাজ বাকি রয়েছে। রাজ্যের
অসহযোগিতায় সেই কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা যাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে কেএমআরসিএল
কর্তৃপক্ষ।
যেমন বেলেঘাটায়
ফুটওভার ব্রিজের প্রয়োজন। পুলিশের অসহযোগিতায় করা যায়নি
অভিযোগ মেট্রো রেলের। প্রসঙ্গত মেট্রো রেলের কাজ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন চলছে। ইউপিএ দুই সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের হাত ছেড়ে দেওয়ার পর
মেট্রো রেলের কাজ ধীর গতিতে চলছে। তৃণমূলের হাতে রেলের
দায়িত্ব থাকাকালীনতার সাথে মেট্রো রেলের কাজ যে দ্রুত গতির সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল তা কিন্তু এখন হচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে রেলের দায়িত্ব তৃণমূল হাতে থেকে চলে
যাবার পর রাজ্য প্রশাসন আগের মত সহযোগিতা আর করছে না। বহু
জায়গায় রাজ্যের হস্তক্ষেপের অভাবে মেট্রোরেলের অধিগ্রহণের কাজ আটকে রয়েছে। যেমন
নোয়াপাড়া হয়ে বারাসাতের মেট্রো প্রকল্পের বহু জায়গায়
অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। স্বাভাবিকভাবে মন্থর গতিতে এগোচ্ছে বারাসাতের
মেট্রো লাইনের কাজ। বেলেঘাটায় মেট্রোরেলের ফুট ওভার ব্রিজের
জন্য রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কারণ
ওখানে রাস্তার উপর একটা ব্লক তৈরি করা দরকার ছিল। কিন্তু
কলকাতা পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনিঅভিযোগ মেট্রো রেলের।
মেট্রো রেলের বক্তব্য,“বেলেঘাটা থেকে ট্রেন ঘোরাতে হবে। তার জন্য ৯০ মিটার মত জায়গা দরকার। সেই জন্য রাস্তায়
সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে রেলের তরফ থেকে জায়গা বাড়িয়ে
দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশকে তাঁদের দিকের কাজ করতে বললে উত্তর আসেনি। লালবাজারের
বক্তব্য, “একসঙ্গে অনেক জায়গায় ব্লকেজ করলে বিমানবন্দরগামী রাস্তা যানজট হবে। এর জন্য আগের কাজ শেষ করে তারপর
ব্লকের আবেদন করতে বলা হয়েছে।”
ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে
বলেন,“ওদের সঙ্গে
আমাদের কথা হয়েছে। কয়েকশো কোটি টাকা মেট্রো রেল থেকে আমরা
পেতাম। সেগুলো মুকুব করা হয়েছে।
পিলারে সবুজ করার কথা। সেখানে তারা করেনি। তারপরও আমরা সহযোগিতা করছি। কারণ আমরা মনেপ্রাণে চাই মেট্রোরেলের কাজ তাড়াতাড়ি হোক। কারণ এই কাজগুলো
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শুরু হয়েছিল। তার উদ্যোগে শুরু
হয়েছিল। মেট্রোরেল দ্রুত তার কাজ সম্পূর্ণ
করলে কলকাতার মানুষের সুবিধা হবে। কেএমআরসিএলের কর্মকর্তারা
নিয়মিত আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন”।
তবে রাজ্য প্রশাসন যাই বলুক না
কেন বিমানবন্দর থেকে গড়িয়া এবং নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং বারাসাত মেট্রোর
কাজ যে মন্থর গতিতে চলছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।