মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন সকাল থেকেই জল্পনা
চলছিল,
বাম কংগ্রেস জোটের কথা মাথায় রেখে হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহার করে
নিতে পারে কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায় চৌধুরী। এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেশ
প্রার্থী পদে অব্যাহত থাকলেন তিনি। বিকেল তিনটা পর্যন্ত প্রার্থী পথ প্রত্যাহারের
সময় ছিল কিন্তু সেই সময়ে মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার
করলেন না। সুতরাং এর থেকে পরিষ্কার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে কংগ্রেস এবং
ফরওয়ার্ড ব্লক মধ্যে। জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের নেতা তথা প্রার্থীর ইলেকশনে
এজেন্ট সেই সাথে তার স্বামী বিশ্বজিৎ সরকার মন্তব্য করে বলেন, কংগ্রেস একটি সর্বভারতীয় দল। তার সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই ফরওয়ার্ড ব্লকের
তুলনা হয়না। তাই ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থী পদ
প্রত্যাহারের কোন প্রশ্নই ওঠে না। সেই সাথে তিনি আরো বলেন, “কোচবিহার
জেলায় ফরওয়ার্ড ব্লকের কোন সাংগঠনিক ক্ষমতাই নেই, বরঞ্চ
তারা প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে পারত”। বর্তমানে মনোনয়ন ভিত্তিক চার নাম্বার
প্রার্থীতে রয়েছেন পিয়া রায়চৌধুরী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,
ফরওয়ার্ড ব্লক এর থেকে অনেক বেশি ভোট পাবে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের
ধারণা, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে যদি জোটকে প্রাধান্য দিয়ে
কংগ্রেস তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করত তাহলে আগামী কুড়ি বছরেও কোচবিহার জেলায়
কংগ্রেসের প্রার্থী পাওয়া যেত না। শুধু তাই নয় কোচবিহার জেলা থেকে কংগ্রেস
চিরস্তরে মুছে যেত। সুতরাং রাজনীতি জানি না এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা সময়ের
অপেক্ষা।