নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে। রবিবাসরীয় প্রচার চলাকালীন তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর সামনেই চরমে উঠল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঢাক বাজিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে চলছিল প্রচার। আচমকাই প্রার্থীকে আগে কে মালা পরাবে তা নিয়ে বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা।কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি, শেষমেশ দুর্গাপুরে সংঘর্ষের আকার নেয় আইএনটিটিইউসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শেষমেশ প্রচার থামিয়ে ভয়ে মন্দিরে আশ্রয় নিলেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
জানা গেছে দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মিছিলের মধ্যেই বিবাদ বাঁধে। আর তা থামাতে না পেরে ‘ক্লান্ত’ প্রার্থী কীর্তি আজাদ ঢুকে পড়লেন শঙ্করানন্দ আনন্দ আশ্রমের মন্দিরে। সেখানে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হলে পরে আবার প্রচারে বের হন প্রার্থী।
তবে হাতাহাতির ঘটনায় তৃণমূলের দু’পক্ষ পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। অন্যদিকে ভোটের বাজারে এমন ঘটনাকে ইস্যু বানাতে কালক্ষেপ করেনি বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থীর উদ্দেশে বিজেপির দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কটাক্ষ, “মালা পরানোকে ঘিরেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! ভাবা যায়! এখনও ৪০ দিন বাকি আছে। কীর্তি আজাদ দেখতে থাকুন, আর কী কী হয় ওর সঙ্গে। তাহলেই বুঝতে পারবে কাদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন!”
যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, “এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। কর্মীরা সকলে চায় মালা পরাতে, কেউ চায় কথা বলতে, অতি উৎসাহ, প্রেম থেকেই কর্মীরা এটা ঘটিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে অন্য মানে খোঁজা ঠিক নয়। এটা ভালবাসার বর্হিপ্রকাশ!”