নিউজ ডেস্ক : রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। ‘মিনি টর্নেডোর'(mini tornado) জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি(jaipaiguri)। ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের। এই আবহে রাতেই জলপাইগুড়ির প্রশসনিক কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু পরিবার। এই ঝড়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
এরপরে প্রধানমন্ত্রী মোদী(Narendra Modi)আরও জানান তিনি জলপাইগুড়ির প্রশসনিক কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইতিমধ্যেই। এক্স-এ করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আধিকারিকদের সঙ্গে আমি ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে যথাযথ সহায়তা করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছি। আমি বাংলার সকল বিজেপি কর্মীদের অনুরোধ করব এই বির্পযয়ের সময় তাঁরা যেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেন এবং তাঁদের পাশে থাকেন।’
অন্যদিকে রবিবার রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঝড়ে আহতদের দেখতে রাতেই তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে যাচ্ছেন। রবিবার রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাশে আছে। এখন যেহেতু এমসিসি (আদর্শ আচরণবিধি) চলছে, তাই প্রশাসন যা করার করবে। একটা বাচ্চাকে নেওটিয়া হাসপাতালে(Neotia Hospital)আনা হচ্ছে, ওটা কাল বিকেলে অভিষেক এসে দেখে নেবে। প্রশাসন যা করার করবে। সবটা এখানে বলছি না।’’
উল্লেখ্য রবিবার বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে। হটাৎ কালবৈশাখিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান ও ধূপগুড়ি। অনেকেই আহত হয়েছেন। ঘরদোর লন্ডভন্ড হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু।