নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য অপসারণ নিয়ে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ। গত বছর জুন মাসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের একাধিক উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। দু’মাস উপাচার্যহীন থাকার পর গত অগস্ট মাসে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রজতকিশোর দে-কে। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস এই পদে বসিয়েছিলেন তাঁকে।
উল্লেখ্য, ৯ মাসের মাথায় সেই আচার্যই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন রজতকিশোর দে-কে।
অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার জন্যই সরানো হয়েছে, মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী। “মাথা গরম হয়ে এ কাজ করেছেন”-কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর। তবে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে রাজভবনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন কনভেনশন হয়েছে।ওয়েবকুপার সভাপতি হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।এই কনভেনশনের পরই সোমবার আচমকা জানা গেল পদ থেকে সরানো হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের পর আরেকজন উপাচার্যর চাকরি গেল। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাবর্তনের আগের সন্ধ্যায় সরানো হয়েছিল বুদ্ধদেব সাউকে। এবার সেই ছবি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল ‘পাগলামি’ করছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য।