নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। আহতদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর–সহ একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।
রাজ্যপাল জানান, রাজভবনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পিস রুম, খোলা হয়েছে জরুরি সেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন।
রবিবার কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত,রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার সকাল হতেই রাজ্যপাল সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার পর চার্টার্ড ফ্লাইটে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শুভেন্দু বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছেন সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ। অর্থাৎ, তাঁদের যাত্রার সময়ের ব্যবধান প্রায় ১৩ ঘণ্টা।
এ প্রসঙ্গে সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। রাজ্যপালও তেমন গিয়েছেন।’’ মমতার দ্রুত যাওয়া নিয়ে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।