রবিবার রাতে
কোচবিহার এলাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উদয়ন গুহর
গাড়িতে ভাঙচুর চালানো এবং আক্রমণের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোতোয়ালি
থানায় ৫০ জনের অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তের তালিকায় প্রথম নাম কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। কোচবিহার
জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এদিন জানান, “তদন্ত
শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে”।
রবিবার রাতে পুনরায় কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ
উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উদয়ন গুহের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এর ঘটনা ঘটে
নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থকদের। দুটি কনভয় প্রচার
সেরে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারি হরিণচড়া এলাকায় মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে
ফের সংঘর্ষ বেঁধে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সাথে অভিযোগ উদয়ন বাবুর গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর হয়েছে। এই ঘটনার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় ধিক্কার মিছিল
এবং আন্দোলনে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। রাতেই গোটা বিষয়ে খোঁজখবর
নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই তৃণমূল সূত্রে জানানো
হয়েছে। মঙ্গলবার কোচবিহারে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য
সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয় তার।
কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ
দে ভৌমিক বলেন, “আমরা লিখিতভাবে
যারা আক্রমণকারী এবং যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আমরা পুলিশ
এবং প্রশাসনের উপরে আস্থা রাখছি। সঠিক বিচার আমরা পাব”।
উদয়ন গুহ বলেছেন, “হুডখোলা গাড়িতে করে নিশীথ ছিল। ওর ইঙ্গিতেরি
এই ঘটনা হিল। দ্বিতীয়বার হল। আমাকে যেন ও প্রাণে মারতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে”।
প্রসঙ্গত ১৯ মার্চ দিনহাটায় মুখোমুখি চলে এসেছিলেন উদয়ন গুহ
এবং নিশীথ প্রামানিক। সেবার দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও বিজেপি কর্মীরা
সেদিন একটু হলেও ব্যাকফুটে ছিলেন। আক্রামক ভঙ্গিতে ছিলেন উদয়ন। তাঁকে ও নিশীথকে ধাক্কাধাক্কিতে
জড়িয়ে পড়ার ভিডিও দেখা গেছিল। কিন্তু এদিন কার্যত মুষড়ে পড়েছিলেন উদয়ন। বিজেপি নেতাদের
কটাক্ষ ময়দান হাতছাড়া হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন উদয়ন। ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী করেছিলেন নিশীথকে ঠাকনোর জন্য। উনি সেটা না পারলে মন্ত্রিত্ব
নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে।