নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন রাজনীতির ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কয়েক মিনিটের ঝড় (Tornado) প্রভাব ফেলেছে রাজনীতির আঙিনায়। এবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই কেন্দ্রে বঙ্গ সফরের বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গেছে। প্রথম দফাতেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নির্বাচন (Election) হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে টর্নেডোর তাণ্ডব এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটের প্রচার(Election Campaign) থমকে গিয়েছে ঝড়ের প্রভাবে। থমকে গিয়েছে স্থানীয় মানুষদের স্বাভাবিক জনজীবন।
তবে ভোট প্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা সম্ভব নয় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে। গণতন্ত্রের উৎসব বলে কথা।
প্রসঙ্গত রবিবার ঝড়ের খবর পেয়েই জলপাইগুড়ি আসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), তড়িঘড়ি টুইট করে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi), উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল কোচবিহার (Coochbehar), আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আসনে নির্বাচন হবে। ভোট প্রচারের ঝড় তুলতে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে জনসভা করার কথা রয়েছে তার। এর পর রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই বালুরঘাটেও সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
উত্তরবঙ্গ পাখির চোখ বিজেপির। নিজেদের গড় ধরে রাখার লড়াই চালাচ্ছে বিজেপি। কোচবিহারের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বালুরঘাটের প্রার্থী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। তিন হেভিওয়েট কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ ও ভাষণ সহযোগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি শুধু উত্তরবঙ্গ নয় লোকসভা ভোটে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে একাধিক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসত, কৃষ্ণনগর ও আরামবাগে সভা করে প্রচারের ঝড় তুলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে ৩০টির বেশি সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এছাড়াও অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা সহ বিজেপির তারকা প্রচারকদের শতাধিক সভা ও মেগা র্যালি হবে রাজ্যজুড়ে।
বিজেপি সূত্রের খবর কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে মোদীর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। এরপর রবিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র বালুরঘাটে দুপুর ২:৩০ নাগাদ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বিকেল চারটে নাগাদ যাবেন জয়ন্ত রায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র জলপাইগুড়িতে। সেখানে সভা করবেন তিনি।
যেহেতু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাল ফল করেছিল এবং সার্বিকভাবে বিগত বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয় বিজেপি তাই উত্তরবঙ্গকে এবারও পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই প্রচারে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না তাঁরা। তাই আগেভাগেই উত্তরবঙ্গের সমস্ত আসনে প্রচারে ঝড় তুলে ভোটারদের নিজেদের পক্ষে করার স্ট্র্যাটিজি নিয়েছে পদ্মফুল শিবির।