নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoist) দমনে এবার জোরালো সাফল্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে আরও এক কুখ্যাত মাওবাদী নেতা। জখম হয়েছে আরও পাঁচজন। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমা (Sukma) জেলার ঘটনা। মঙ্গলবার সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চাভেন বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সুকমায় খতম হয়েছে এক মাওবাদী নেতা। তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে ওই জঙ্গলে চলছে তল্লাশি।”
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ছত্তিশগড়ের এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করা হবে।” তার পর বুধবার থেকেই ছত্তিশগড়ে মাও দমনে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। সিআরপিএফের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সিআরপিএফের কোবরা ব্যাটেলিয়নের একটি ইউনিটকে হেলিকপ্টারে করে সেনাশিবিরে পাঠানো হচ্ছিল। দলটি যখন হেলিকপ্টার থেকে নামছিল, তখন কোবরা কমান্ডো ও মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের কোবরা ইউনিট, ছত্তিশগড় পুলিশ ও তেলঙ্গনা পুলিশের গ্রেহাউন্ড স্পেশাল ফোর্সের যৌথবাহিনীর তরফে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। বুধবার (Chhattisgarh) হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং অস্ত্র নিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে ৩০ মার্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। দুদিনের এই অভিযানে এনকাউন্টার হয় তিনবার।
২৬ মার্চও ছত্তিশগড়ের বস্তারে বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের এনকাউন্টারে খতম হয় ছয় মাওবাদী। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বিজাপুর জেলার একটি জঙ্গলে। ওই জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি দল লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাহিনী। দু’পক্ষের লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক মহিলা সহ ছয় মাওবাদী।
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। সেদিন দেশের আরও কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে নির্বাচন হবে বস্তার যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীন, সেখানেও। নির্বাচনে অশান্তি পাকাতেই এলাকার বিভিন্ন জঙ্গলে জড়ো হয়েছে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের সেই চক্র দুরমুশ করতেই অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী (Chhattisgarh)