একের পর এক দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল সরকার।
বিগত এক বছরে বিভিন্ন দুর্নীতি এবং আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় রাজ্যের শাসক
দলের বহু নেতাই বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার হাতে বন্দি। এই আবহেই ঘোষণা হয়েছে আসন্ন
লোকসভার নির্বাচন। রাজ্যের শাসক দল নিজেদের জায়গা হারানো নিয়ে এতটাই আশঙ্কিত যে
ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে একের পর এক অশান্তি, বিশৃঙ্খলা। যা নিয়ে বহু রিপোর্ট জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিভিন্ন লোকসভা প্রার্থীর উপর চড়াও হচ্ছে শাসকদলের কর্মীরা।
সম্প্রতি দিনহাটায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের উপর
উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর হামলাই তার প্রমাণ। যার জেরে বিজেপির বেশকিছু
প্রার্থীকে তথা নেতাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্যজুড়ে
তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে রাজ্যের চার বিজেপি প্রার্থীকে বিশেষ নিরাপত্তা দিতে
বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। এএনআই সুত্রে খবর, এই চারজন হলেন, প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের
বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের প্রার্থী
অর্জুন সিং, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মণ এবং
কোচবিহারের বিজেপির এগজিকিউটিভ সদস্য তাপস দাস। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি
হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়,
অন্যদিকে লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ অর্জুন সিংও যোগ দেন
পদ্মশিবিরে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, তমলুকের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা দেওয়া
হয়েছে। অন্যদিকে অর্জুনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ‘জেড’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা। এই জেড
ক্যাটাগরির সুরক্ষা সাধারণত দেশের মন্ত্রীরা পেয়ে থাকেন। বাকি দুই বিজেপি নেতাকে
দেওয়া হবে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা। জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষায় থাকেন ২২জন
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মী এবং ৪ থেকে ৬ জন সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ
কম্যান্ডো এবং পুলিশ। পাশাপাশি অর্জুনের এই সুরক্ষা বলয়ে থাকবে অন্তত পাঁচটি গাড়ির
কনভয়, যার মধ্যে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িও থাকবে। ওয়াই ক্যাটাগরির
সুরক্ষায় থাকবে দুজন কমান্ডো, আটজন জওয়ান এবং কমপক্ষে দুটি
গাড়ির কনভয়। এক্স ক্যাটাগরি সুরক্ষা বলয়ে থাকে দুজন জওয়ান
এবং একটি বা দুটি গাড়ির কনভয়।
কেন এই সুরক্ষা ব্যবস্থা তা কেন্দ্রের তরফে
স্পষ্ট করা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রের মতে, ভোটের আগে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই বঙ্গের বিজেপি নেতাদের
রাজনৈতিক গুরুত্ব বিচার করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ থেকেই অর্জুন এবং
অভিজিৎ এই নিরাপত্তা পাচ্ছেন অন্যদিকে বাকি দুই বিজেপি নেতা এই নিরাপত্তা পাচ্ছেন
গত ২৯ মার্চ থেকে।