নিউজ ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তিনি সভা করবেন কোচবিহারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্রে।
অন্যদিকে আজই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা কোচবিহারে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই দলই সভা করবে উত্তরবঙ্গে।
বেলা ১২টা নাগাদ মাথাভাঙার গুমানিরহাট হাই স্কুলের মাঠে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা। পাশাপাশি সেই জনসভা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কোচবিহার সদরে রাসমেলার মাঠে বিকেল ৩টে নাগাদ সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদীর।
বিজেপি সূত্রের খবর, কোচবিহার লোকসভা আসনে এ বারের দলীয় প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে দলের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। কোচবিহারের মতো রাজবংশী-প্রধান জেলায় এ ক্ষোভ মেটাবেন কী ভাবে, মোদীর বার্তায় সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতাদের একাংশ।
বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে এনিয়ে ৯ দিনে রাজ্যে চারটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাসমেলা ময়দানে জোরকদমে চলছে সভার মঞ্চ বাঁধার কাজ। দুটি মঞ্চ করা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি থেকে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মূল মঞ্চের প্রথম সারিতে ছ’জন মহিলা নেত্রীকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে তিনজন করে মহিলা নেত্রী থাকবেন মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীরা থাকবেন। দুই জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বও থাকবেন। তাঁদের পাশেই থাকবেন ছ’জন মহিলা নেত্রী।
প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার পর কোচবিহার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে প্রচার সভা শুরু করছেন মোদী। অনেকের মতে, রাজবংশী ভোট ‘দখলে’ রাখতে কোচবিহারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পদ্মশিবির। তাই মোদীর জনসভার জায়গা হিসাবে প্রথমেই কোচবিহারকে বাছা হয়েছে।
উল্লেখ্য এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। পাশাপাশি বামেদের তরফে ভোট লড়বেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতীশচন্দ্র রায়। আর অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে পিয়া রায়চৌধুরীকে।
এবারের নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের হারানো আসন ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল শিবির। অন্য দিকে, নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে৷ ইতিমধ্যেই গুমানিরহাট ও রাসমেলা মাঠে জোর পর্যায়ে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চ প্রস্তুতির কাজ৷ একই দিনে এই দুই হেভিওয়েটের জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তা দিতে মরিয়া কোচবিহার পুলিশ৷