নিউজ ডেস্ক: নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার হরনগর
পঞ্চায়েত এলাকায়, খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম জাহিদুল
শেখ । তিনি হরণগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল
পঞ্চায়েত সদস্যা সাগিরা বিবির স্বামী ছিলেন। আট বছরের সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই তাঁকে খুন করা হয়। খুনের ঘটনায়
অভিযোগের তীর কংগ্রেস সিপিআইএম জোট আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে।
বুধবার রাতে নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার হরনগর গ্রামে
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জাহিদুল শেখ খুন হন। এই মামলা তৃণমূলের আন্তরিক
কলহের জেরে হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে এটিকে কলহ মানতে নারাজ শাসক পক্ষ। তাঁদের
দাবি, কংগ্রেস সিপিআইএম জোট আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন
জাহিদুল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে এক প্রতিবেশী ধারালো অস্ত্রে গুরুতর
আহত হয়েছেন। মৃতের পরিবারের সদস্যরা
মৃতদেহ দেখানোর দাবিতে নাকাসিপাড়া থানায় রাত ১টা পর্যন্ত
বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল
পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। জানা যায় এই পরিবার ইদের বাজার করে নাকাসিপাড়া বেথুয়াডহুরী থেকে ঘুনি গ্রামের বাড়িতে চারচাকা
করে ফিরছিল। দুষ্কৃতীরা মাঝ
রাস্তায় প্রথমে বোমাবাজি, পরে খেজুর গাছের গুড়ি রাস্তায় ফেলে তাঁদের গাড়ি আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার
আগেই গাড়ির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে
বার করে এনে তাঁকে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন
জাহিদুল। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে আরও কোপানো হয়। আট বছরের
সন্তানের সামনেই এসব চলতে থাকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী।
ধারাল অস্ত্রের আঘাত তাঁর শরীরেও পড়ে। আক্রান্ত হয় আট বছরের ছোট সন্তানও। স্থানীয়
বাসিন্দারাই আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়
বেথুয়াডহরি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা
আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চায়েত মেম্বার সাগিরা বিবি,
তার স্বামীর নাম জাহিদুল সেখ, ছেলের নাম রাকিব
শেখ, প্রতিবেশী আদ্রুপ শেখ গুরুতর আহত কৃষ্ণনগর হসপিটালে
চিকিৎসাধীন। সাগিরা বিবি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। এই খুন রাজনৈতিক খুন বলে দাবি
পরিবারের। তৃণমূল করি, ভোটে জিততে দেবে
না এলাকার কংগ্রেস সমর্থক কর্মীরা। আর পঞ্চায়েত মেম্বার বলে,এলাকায়
জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল এক ব্যক্তির সাথে তাকে নিয়ে থানায় আসাতে কংগ্রেস সিপিএম জোট
আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। আত্মীয়রা বলেন, রাজনৈতিক খুন। এই
বিষয়ে কংগ্রেস থেকে বলা হয়,কংগ্রেস এই খুনের সাথে যুক্ত না।
তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তদন্ত করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মৃত জাহিদুল শেখের ভাইপো বাসির শেখ বলেন, “আমার কাকা এবং তার
পরিবারকে নিয়ে যখন ঈদের বাজার করে বেথুয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই তাদেরকে রাস্তা আটকানো হয় এবং বোমাবাজি করা হয়। পরবর্তীকালে
এলোপাথাড়ি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটালো সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই
বুঝতে পারছি না।”