নিউজ ডেস্ক : গড়চুমুক শ্যামপুর রাস্তার ধরে অনেকটা যাওয়ার পরেই সরু ঢালাই রাস্তা। নেমে গিয়েছে দুই দিকেই। সেখান থেকে গেলেই পৌঁছানো যায় বারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগপাড়া, মন্ডলপাড়া, মল্লিক পাড়া, পালংদার পাড়া সহ একাধিক। আর সেই ঢালাই রাস্তা ধরে টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে প্রচার করলেন উলবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরী। তৃণমূলের বক্তব্য আসলে দীর্ঘদিন তো ওদের কোন প্রার্থী এই এলাকায় প্রচারে আসেননি। সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের সময়ে পাড়ায় পাড়ায় ঢালাই রাস্তা হয়েছে। আর তার উপরেই দিয়েই টোটোয় চেপে গ্রামে ঢুকে প্রচার করছে বিজেপি। তাও আবার বলছেন দিদি নাকি কিছু করেননি। গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা আবার পথশ্রী প্রকল্প হচ্ছে।
বুধবার অরুণ উদয় পাল চৌধুরী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারে যান। এলাকাটি বিজেপির দু’নম্বর মন্ডলের মধ্যে পড়ে। প্রচারে যাওয়ার সময় মন্ডলপাড়া বাগ পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়ার ঢালাই রাস্তার পাশেই বাসিন্দাদের বাড়ি। বাসিন্দারা বাড়ির সামনেই অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন। যাওয়ার সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে হাতে নেড়েছেন, কাউকে প্রণাম করেছেন বিজেপি প্রার্থী। স্থানীয়দের বক্তব্য আগে এখানে রাস্তা ঠিকঠাক ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ঢালাই রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে এখানে গ্রামের বহু রাস্তা ঢালাই হয়েছে। তাই বিজেপি প্রার্থী সহজে সেখান দিয়ে টোটোয় চেপে পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে যাচ্ছেন। এই এলাকার বিজেপির মন্ডল সভানেত্রীরা ইরা পালংদারও স্বীকার করেছেন রাস্তা ভালো হওয়ায় আমাদের প্রার্থীর আশা সহজ হয়েছে। তবে তার যুক্তি কেন্দ্র সরকারের টাকায় অনেক তো গ্রাম সড়ক যোজনা রাস্তা হয়েছে। সুতরাং এটা কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু প্রশ্ন সেটা তো আর বাড়ির দোরগোড়ায় আসেনি।
বার গ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী মোল্লা এবং বার গ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা চিন্ময় পালংদার বলেন গ্রামে ঢালাই রাস্তা তৈরীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার অনেক টাকা আটকে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা আটকে দিয়েছে। রাস্তা আরও করা বাকি রয়েছে। উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মানুষের কথা ভেবে সরকার পথশ্রী প্রকল্পের নিজের টাকা দিয়ে রাস্তা করছে দয়া করে বিজেপি প্রার্থী এগুলো দেখুক। যদিও বিজেপির বক্তব্য উন্নয়ন তো কেন্দ্র সরকারের টাকাতেই হয়েছে। রাজ্য সরকার টাকার হিসাব দিতে না পারায় কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে।