নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে অত্যাচারী কংস মামাকে বধ করেছিল ভাগ্নে শ্রীকৃষ্ণ । অবশ্য তার পেছনে মহৎ এক উদ্দেশ্য ছিল। তবে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে সশরীরে না হলেও ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে কাগজপত্রে মামাকে মৃত বানিয়ে মামার পৈত্রিক বাড়ি সহ এগারো শতক জায়গা নিজের নামে করে নিয়েছিল তারই ভাগ্নে।
যদিও সম্প্রতি বছরখানেক আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিএলআরওকে ঘুঘুর বাসা বলেছিলেন। তবে সেখানে যে শুধু বাসায় নয় শিয়ালসহ জন্তু-জানোয়ারদের বড় বড় গর্ত রয়েছে তা হয়ত তার অজানা । এমনই চাঞ্চল্যকর নিদর্শন দেখা গেল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে।
লেখাপড়া না জানা সহজ সরল মামার নাম অঙ্গ ধারা। কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছায় থাকতেন বর্তমানে থাকেন পোড়াগাছায়। পাশেই থাকেন দাদা এবং তার ছেলেরা। ভাইপো তাপস ধারা সম্প্রতি কাকা অঙ্গ ধারাকে জানতে চায় যে সে তার বসত ভিটে সহ জমি ভাগ্নে নিতাই ধারা কে বিক্রি করেছে কিনা! কারণ সে লক্ষ্য করেছে তার বাবা রঞ্জিত ধারার নামে সম্পত্তি ঠিকঠাক থাকলেও কাকার নামে কোন জমি নেই সে জায়গায় বিভিন্ন সরকারি তথ্যে লেখা রয়েছে ভাগ্নে নিতাই ধারার নামে।
ঘটনা জানাজানি হতেই তারা সরাসরি পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ বিএলআরও অফিসে। বিএলআরও আধিকারিক তুহিন বিশ্বাস জীবিত অঙ্গ ধারাকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ, কিছুটা সময় ভূত দেখার মতন তাকে দেখে তার মুখ থেকে সবিস্তারে বক্তব্য শুনে তিনি আবারও তার নামে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়মাবলি বলে দেন। আশ্বাস দেন তিনি যাতে জমি ফিরে পান তার ব্যবস্থাও করবেন। কিন্তু কীভাবে সরকারি দপ্তরে এই ভুল তথ্য খতিয়ে না দেখে লিপিবদ্ধ হল তার সদুত্তর দেননি তিনি ।
অবশ্য যে সময় এই ঘটনা হয়েছিল সেই সময় তিনি ছিলেন না এই দপ্তরে । শুধু জমি ফিরিয়ে দেওয়া নয় ভাইপো তাপস ধারার দাবি কেউ ব্যক্তিগতভাবে অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করতেই পারে কিন্তু সরকার তা কিভাবে গ্রহণ করল, তাহলে কি সরকারের একাংশ এর সাথে যুক্ত? অন্যদিকে মামা অঙ্গ ধারা জীবিত থাকতেও কাগজপত্রে মৃত বানানো, এবং জমি আত্মসাৎকারী ভাগ্নের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গ্রামের পড়াশুনা না জানা মানুষজন দিনের পর দিন এসে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তাদের নিজেদের বৈধ জমি জমা সংক্রান্ত কাজ করতে হিমশিম খান। আর জল জ্যান্ত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে তার জমি কেড়ে নেওয়ার জন্য যারা সহযোগিতা করেছে সেই সমস্ত সরকারি আধিকারিকদেরও শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে জানাবেন বলেই জানা গেছে।”