নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারতীয় ডাকঘর। ৩৬৫ দিন বরফে ঢাকা আন্টার্কটিকায় ডাকঘর(Antarctica Post Office) খুলল ভারত। চার দশক পর এবার আন্টার্কটিকায় নয়া ডাকঘর খুলল ভারত(India), সেখানে চিঠি পাঠানোর নতুন পিন কোড হল MH-1718. আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে এই পিন কোডটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আসলে ভারত আন্টার্কটিকায় একটি গবেষণা মিশনে রয়েছে। যাতে ভারত থেকে প্রায় ৫০-১০০ জন বিজ্ঞানী জনমানব শুন্য আন্টার্কটিকায় কাজ করছেন।
মহারাষ্ট্রের চিফ পোস্টমাস্টার(post master) জেনারেল কে কে শর্মা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের এই তৃতীয় পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত অ্যান্টার্কটিকায় এর আগে ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ গঙ্গোত্রী স্টেশনে প্রথম পোস্ট অফিস খুলেছিল। এবং দ্বিতীয় পোস্ট অফিসটি ১৯৯০সালে মৈত্রী স্টেশনে খোলা হয়েছিল। আর এখন তৃতীয় পোস্ট অফিসটি খোলা হল।
এই নয়া ডাকঘরটি(post office) খোলা হয়েছে আন্টার্কটিকায় ভারতের ‘ভারতী গবেষণা কেন্দ্র স্টেশনে’। ‘মৈত্রী’ এবং ‘ভারতী’, আন্টার্কটিকায় ভারতের এই দুই ডাকঘরের মধ্যে দূরত্ব ৩০০০ কিলোমিটার। তবে দু’টি ডাকঘরই গোয়া ডাক বিভাগের শাখা।
যদিও বর্তমানে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের(facebook-whats app) যুগ। মানুষ কয়েক সেকেন্ডে তাদের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকায় এখনও চিঠি আদান প্রদানের উন্মাদনা রয়েছে। চিঠির নস্টালজিয়া ও চিঠির মাধ্যমে পাওয়া অ্যান্টার্কটিকার পোস্টাল স্ট্যাম্প(postal stamp) জমাতে সেদেশের মানুষ এখন সমান ভাবে উৎসাহী। তাই খামের উপর আন্টার্কটিকার ডাকঘরের স্ট্যাম্প সংগ্রহে রাখার জন্যও চিঠি পাঠান বহু মানুষ।