নিউজ ডেস্ক: এনআইএর উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট
তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইয়ের
শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএর (NIA) আধিকারিকদের
সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা শুনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর পুরো বিষয়
জানার পর রাজ্যপালসম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব
করেছেন।
কোন দিকে এই ঘটনায়
এনআইয়ের অভিযোগ নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ (Police) এনআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই পাল্টা শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে। রাজ্যের এজেনন্সি কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে
রাজনৈতিক অঙ্গুলীহেলনে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
প্রসঙ্গত ভূপতিনগর
(Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের
গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ
আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়।সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর
ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচন্ড জোরে বিস্ফোরণ
হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে
উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি
রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেব কুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ
গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের।ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির
ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে।
সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব কুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে
ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি
চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু
একবারও তারা হাজিরা দেননি।
এদিকে রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকান্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন,“হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই
লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি
লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে
গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা পলা পড়ে বসে থাকবে।” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র
তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ
এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি
N.I.A.’র এসপি ধরাম সিংএর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র
তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য
ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”
পরিকল্পিতভাবে হামলা
চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তদন্ত প্রভাবিত
হতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি বিজেপি মুখপাত্র শ্রমিক ভট্টাচার্য বলেছেন
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে এভাবে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে
লেলিয়ে দিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার
চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি চাইছেন আরেকটা বড় ঘটনা
হোক এবং এর দায় তদন্তকারী সংস্থার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে দুষ্কৃতিদের এবং অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছেন রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা নজিরবিহীন