ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কান্ডে এবার নিহত তৃণমূল (TMC)
নেতার কল ডিটেলস (Call Record) এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র (NIA)।
বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরো দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এই
তালিকায় রয়েছেন এনআইএর উপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar
Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে
গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই
দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায়
বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল
থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল এমন একাধিক প্রমাণ এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে
বলাই ও মনোব্রতর তা জানতে চান
তদন্তকারীরা। তা জানতেইকল ডিটেলস
খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে
দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে
বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে
দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার
হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে
তদন্ত হচ্ছে তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে
গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এর উপরে
হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানায় তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে
মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী
সংস্থার তদন্তের বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ
সৃষ্টি করার পাল্টা কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।