কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জঙ্গিদের
হুমকি!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লস্কর এ তৈয়বার
(Lashkar E Tayyaba) হুমকি ভরা চিঠি! মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগণায়
(North 24 Parganas)। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanau
Thakur) কাছে সোমবার একটি চিঠি আসে। শান্তনু
ঠাকুর এবারও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তার কাছে যে হমকি চিঠি
এসেছে তাতে লেখা যদি বাংলায় এনআরসি লাগু করা হয় তাহলে হাফিজ সঈদের নির্দেশ মাফিক লস্করের
প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঠাকুরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union
Minister) শান্তনু ঠাকুরের কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল শ্রদ্ধেয় শান্তনু বাবু। আশা
করি ভালো আছেন। যাই হোক আপনাকে জানাচ্ছি যে পশ্চিম বাংলায়
যদি এনআরসি (NRC) এবং এনআরসি–র ফলে যদি
মুসলমানদের ওপর কোনও রকম অত্যাচার হয়,
তাহলে পশ্চিমবাংলা তথা সমগ্র ভারত জ্বলবে এবং আপনাদের ঠাকুরবাড়ি(Matua
Thakurbari) উড়িয়ে দেওয়া হবে। কেউ আপনাদের ঠাকুরবাড়িকে বাঁচাতে
পারবে না। লস্কর-এ-তৈয়বার নাম শুনেছেন
তো? আমরা লস্কর-এ-তৈয়বার সদস্য। আপনাদের হাফিজ সঈদের নির্দেশ মত আমরা পশ্চিমবাংলায় এনআরসি লাগু করলে
সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেব। চিঠির প্রেরক হিসেবে নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী ও ফজর
আলীর নাম লেখা এবং ঠিকানা হাদিপুর,
দেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা উল্লেখ
করা হয়েছে। চিঠিটি যথেষ্ট সন্দেহজনক। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে টাইপরাইটারে টাইপ করা মনে
হয়। ০৫ এপ্রিল শুক্রবার এই চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও চিঠির
ভিতর ০৭ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা আছে।
শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন তিনি
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতে চলেছেন। এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো
হয়। এই ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁরা
শান্তনু ঠাকরের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন।
তবে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন
লস্কর-এ-তৈয়বা সক্রিয় থাকলে খুবই চিন্তার বিষয়। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির দীর্ঘ সময়
থেকে অভিযোগ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিকে সেফ করিডর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে জঙ্গি সঙ্গঠনের
সদস্যরা। ঘাপটি মেরে তাঁরা তাদের কাজকর্ম চালায়। ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তদন্তের সুরাহা
হয় না বলে অভিযোগ বিজেপির। এই রাজ্য থেকে একের পর এক নাশকতামূলইক কাজকর্ম হলেও রাজ্য
পুলিশ তদন্তে অনীহা দেখায়। ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। তাতেও
শাসক দলের কর্মীরা বাধা দেয়।
এর আগেও এই রাজ্যে পিএফআই, সিমি,
জামাতের মত নিষিদ্ধ সংগঠনের অস্তিত্ব মিলেছে। এবার সরাসরি কেন্দ্রিয় মন্ত্রীকে হুমকির
মত ঘটনা চিন্তার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দেগঙ্গা ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক
সীমান্তের খুব দূরে নয়। কিন্তু লস্কর পাকিস্তান থেকে চালিত হয়। পাকিস্তানের এই উগ্রপন্থী
সংগঠন বাংলায় কিভাবে তাদের শাখা বিস্তার করল তা চিন্তার বিষয়।