সন্দেশখালির পর বীরভূম:
নিউজ ডেস্ক: এ যেন আরেকটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বীরভূমে
এবার বউ সুন্দরী না হলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প(Govt Schemes)
থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী(TMC Candidate) শতাব্দী রায়(Satabdi
Ray)। তিনবারের সাংসদের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় জনতা। কোথাও পানীয় জল
নেই, কোথাও রাস্তা খারাপ, আবার কোথাও
শাসক দল না করায় বাড়ি তৈরি না করে দেওয়ার অভিযোগ।
কেন এই বিক্ষোভ?
কেন বিক্ষোভ করছেন? জিজ্ঞেস করায় গ্রামবাসীদের যা অভিযোগ তা শুনলে যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্ত মাথায় উঠে যাবে।তার
বক্তব্য, “বউ সুন্দরী হলে তবেই মিলবে সরকারি
প্রকল্পের টাকা।” শতাব্দীকে সামনে
পেয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মোহাম্মদ বাজার ব্লকের লাউজোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে এদিন এই এলাকায় প্রচারে এসেছিলেন বীরভূমের তিনবারের তৃণমূল
কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদকে হাতের নাগালে পেয়ে
চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন,“যাদের বউ দেখতে ভালো তারা টাকা পাচ্ছে। আর যাদের বউ দেখতে ভালো না তাদের সরকারি টাকা দেওয়া হচ্ছে না।” গ্রামবাসীদের এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুনে শতাব্দী রায়ের মুখের ভঙ্গি বদলে
যায়। এমনকি স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন,” সাংসদ কে ভোটের পর আর দেখা যায় না। তাই ভোট দেব
টাকা নেব। টাকা ছাড়া ভোট দেব না।
শতাব্দীর বক্তব্য:
বিক্ষোভের প্রশ্নে
শতাব্দী রায় বলেন,“যদি কেউ
বলে ভোট দেব টাকা নেব, তাহলে এই মন্তব্যের আমি কি উত্তর দেব।কয়েকজন গ্রামবাসী কোনও স্কিম
পাইনি শুনেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সেগুলো যাতে তারা
পায় তার ব্যবস্থা করব।” অভিযোগ উঠছে যারা তৃণমূলের সঙ্গে
যুক্ত তারা টাকা পাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ যারা কোন দলের
সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন তারা টাকা পাচ্ছেন না। অনেকে আবার
তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস
যোজনার ঘরবাড়ি ও পাননি বলে অভিযোগ উঠছে।
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া:
কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে
মহিলাদের উপর নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছিল।শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ ছাড়াও কথায় কথায় রাত্রিবেলা পিঠে
বানানোর জন্য ঘুমন্ত মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জোর করে মিটিং মিছিল করতে বাধ্য করার ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল। চাষের
জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে পরে তা দখল করে ভেড়িবানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
উঠেছিল। সেই পথেই কী বীরভূম পা বাড়িয়েছে? শাসক দলের তৃণমূল স্তরের নেতাদের আচরণ ঘিরে
মানুষের যা অভিযোগ তাতে এই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। শাসক দল সন্দেশখালি
ইস্যুতে আগে থেকেই কোণঠাসা। তবে নির্বাচনের
প্রাক্কালে শাসক দলের নেতার চোখে চোখ রেখে অভিযোগ তুলে দেওয়ার ঘটনা খুবই বিরল তৃণমূলের
বিরুদ্ধে ওঠা এই মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বাংলার প্রতিটি কোণে এরকম সন্দেশখালি
বীরভূম রয়েছে। মানুষের এখন দেওয়ালে পিঠ থেকে গেছে। তাই এখন তারা
ভয় পাচ্ছে না।”