নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকালী পুজোর বিসর্জনের সময় রাম-গান বাজানোয় হামলা ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour), রাম নবমীর আগে এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাংলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করল বঙ্গ বিজেপি।
এক্সে বিজেপি ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতি বছরই ডায়মন্ড হারবারের সরিষার কলাগাছিয়া এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের(Kali Idol Immersion ) সময় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
জানা গিয়েছে, কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবক গেরুয়া জামা পরেছিলেন। বাজছিল রামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান(Ram Song)। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একদল যুবক। পুড়িয়ে দেওয়া গেরুয়া গেঞ্জি। নিরঞ্জনে অংশ নেওয়া যুবকদের বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় ১১ জন বিজেপি(BJP) সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপি(BJP) দাবি করেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, এগুলি পরিকল্পিত হিংসা। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এগুলি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, গতবারও রামনবমীর(ram navami) আগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরে বেছে বেছে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করছে। নির্বাচনে যাতে ভাইপো(abhisekh banerjee) জেতেন তার জন্যই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিনও রাজ্যে অশান্তির ছবি ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য(amit malviya)। সেই সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(election commission) কাছে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি।