নিউজ ডেস্ক: আবার সরব দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh),ভোটের মুখে এর আগে বারংবার শিরোনামে উঠে এসছেন দিলীপ ঘোষ। এবার আরও একবার শাসক দলকে নিশানায় আনলেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন দিলীপ ঘোষ। এদিন বর্ধমানের ডি ভি সি বাংলোর পাশের ময়দানে প্রাতভ্রমণে(morning walk) বের হন তিনি। সেখান থেকে নীলপুর বাজার হয়ে যান নীলপুর শ্রীগুরু সঙ্ঘের একটি আশ্রমে।
তখনই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি একাধিক বিষয়ে মত প্রকাশ করেন-
চেলা কাঠ প্রসঙ্গে-
“চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব। যে যা ইচ্ছা বলবে, ওই দিন চলে গেছে। আমরা পালটা বলব। ‘বিজেপির(BJP) কিছু লাগে না। ভোটই(vote) অস্ত্র। মানুষ ওটা দেবে আমাদের, ওভাবেই হারাবো।”
অনন্ত মহারাজ দলে আসার প্রসঙ্গে-
“অনন্ত মহারাজ অনেক দিন বাইরে থেকে সাপোর্ট করেছেন। এবারে যোগ দিয়েছেন। ভাল কথা।
”
শাজাহানের সি বি আই কে ভালো বলা প্রসঙ্গে-
“শাজাহানকে(sheikh shahjahan) টি এম সি(TMC) ব্যবহার করেছে। টি এম সির হয়ে টাকা তুলেছে। দু মাস চেষ্টা করল ওকে নিয়ে। এখন ছেড়ে দিয়েছে। তবে সিবিআই তদন্ত করলে আরো অনেকে ধরা পড়বে। “
উল্লেখ্য গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের শিবিরে ঢুকে ভাষণ দিয়েছেন, শরবত খেয়েছেন দিলীপ। তাই নিয়ে প্রশ্ন এলে তিনি বলেন-
“কোনো রঙ কারো কেনা না। ওরা ( তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা) আমায় ডেকেছেন। আমায় ভাষণ দিতে বলেছেন। আমি গেছি। টি এম সি যদি দুর্গাপূজা করে আমি যাব না। ওরা শ্লোগান দিয়েছেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। ওরা রাজনীতি(politics) ছাড়া কিছু বোঝেন না।ভালোবেসে খাওয়ালে শরবত মিষ্টি লাগে। ওরা কাল ভালোবেসে খাইয়েছেন আমি খেয়েছি। তৃণমূল ভয় পায়নি। পরিবর্তন হয়েছে। যারা আমার গাড়িতে হামলা করত তারাই যদি শরবত খাওয়ায় তাহলে বুঝতেই পারছেন।”
কীর্তি আজাদ প্রসঙ্গে-
“আমি বলেছিলাম এক সপ্তাহ পরে দেখবেন। কীর্তি আজাদ(kirti azad) অনেক বড়বড় কথা বলেছিলেন। নমিনেশনের আগেই বুঝবেন কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। উনি লাল মেঘ দেখছেন। লাল মেঘ দেখলে গরু যেমন লাফায় তেমন লাফাচ্ছেন।”
নিয়োগ মামলায় এফ আই আর প্রসঙ্গে-
“নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফ আই আর হয়েছে। মানুষ ক্ষুদ্ধ। বিচার প্রক্রিয়া লম্বা হলে মানুষ আশাহত হবেন। এবারে আশাকরি ওরা সাজা পেয়ে যাবেন।”
বিনয় তামাং প্রসঙ্গে-
“বিনয় তামাং(binay tamang) এন্ড কোম্পানি আমার উপর হামলা করেছিল। আমার এফ আই এর নেয়নি। এখন এফ আই আর হয়েছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।”
ত্রাণ প্রসঙ্গে-
“সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করবে। কিন্তু সেই টাকা যদি ভুল করে টি এম সি র লোকেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। কমিশন বিরোধিতা করেছে। আমরাও করেছি। ”