নিউজ ডেস্ক: তখন বাড়িতে
কেউ ছিল না। মূক-বধির যুবতীকে ভূল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের
করে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলিতে
(Hooghly) । জানা গেছে ২৫ বছরের ওই যুবতীকে
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই প্রতিবেশী। পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrest) করেছে বলাগড় (Balagarh) থানার
পুলিশ। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) সমর্থক বলে জানা গেছে।
অপরাধের ঘটনায় রাজনীতির রঙ!
বলাগড় বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ মইনুদ্দিনের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বলেন, আমরা
চাই নির্যাতিতা সুবিচার পাক। শাসকদলে থাকায় অপরাধ করে যেন ছাড় না পায়। যদিও
পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। বলাগড় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন,
ধর্ষণের ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আইনের কাজ আইন মেনেই হবে। সব
ব্যাপারে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া বিজেপির কাজ।
ঠিক কী হয়েছিল?
নির্যাতিতার মা জানান, “ছেলেটা দীর্ঘদিন থেকেই আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে
৯টা নাগাদ এটা করেছে। মেয়ে ওই ঘটনার পর আমাকে পুরো ঘটনা জানায়।
সব কথা গ্রামের লোককে জানাই। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে নি। আমাদের কেউ সাহায্যকরে
নি। আমরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে কেস করি। যে ছেলেটা এই কাজ করেছে ও
তৃণমূল করে। আজ (শুক্রবার) গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু, পুলিশ বলছে আজ হবে না। আমরা বুঝতে পারছি না কী
হচ্ছে। পুলিশ কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে?” আইনজীবী
শুভঙ্কর পাল বলেন, “পরিবারের লোকেরা
আমাকে জানিয়েছে অভিযুক্ত শাসক দল ঘনিষ্ঠ। সে ও তার পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই আমরা কোর্ট
মনিটরিংয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছি।”
কেন গোপন জবানবন্দিতে দেরী?
আদালত সূত্রে জানা গেছে যুবতী যেহেতু সাংকেতিক ভাষা
ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারে না সেই কারণে সাংকেতিক ভাষা জানা দোভাষীর ব্যবস্থা করার
নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মত শনিবার আদালতে দোভাষীর উপস্থিতিতে বিচারক গোপন জবানবন্দি
নেবেন।