নিউজ ডেস্ক: মেরঠ থেকে সালাসর বালাজির দর্শন করে ফেরার সময় রাজস্থানের সিকর এলাকায় ৭ জনের পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল। সকলেই গাড়ির ভিতরে জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ও দুজন তাদের আত্মীয় বলে জানা গেছে। এরা সকলেই মেরঠ ক্যান্টনমেন্টের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সত্যপ্রকাশ অগরওয়ালের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
কোথায় দুর্ঘটনা ?
জানা গিয়েছে মেরঠ রোড থেকে এই পরিবার সালাসর বালাজির দর্শন করতে গিয়েছিল। দর্শন করার পর পরিবারের সকলে একই গাড়িতে ফেরত আসার সময় সতীমাতার দর্শন করার জন্য হিসার যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেই সময় সিকর এলাকায় একটি ট্রাককে উড়ালপুলে ওভারটেক করার সঙ্গে তাদের গাড়ি ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপরই তাদের গাড়ির সিএনজি ট্যাঙ্ক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গাড়ির ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাতজন মারা যায়। যারা মারা গিয়েছেন তারা সকলেই শিবশংকর পুরীর বাসিন্দা। তাদের নাম নিলম গোয়েল, মুকেশ গোয়েল, মঞ্জু বিন্দাল, হার্দিক বিন্দাল, স্বাতী বিন্দাল, দিশা ও তার দু বছরের বোন (নাম অজ্ঞাত) বলে জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে হার্দিক বিন্দল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ আগরওয়ালের শ্যালক। এরা সকলের প্রাক্তন বিধায়কের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটে?
রবিবার দুপুরবেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী রামনিবাস সৈনি বলেছেন, “দুপুর বেলা ২:৩০ নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমি নিজের পিকআপ গাড়ি সার্ভিস করানোর জন্য উড়ালপুলের পাশের একটি সার্ভিস সেন্টারে যাচ্ছিলাম। সেই সময় উড়ালপুলের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমার পাশ থেকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়ি ওভারটেক করার চেষ্টা করে। সেই সময় ট্রাকে ধাক্কা মারে তাদের গাড়ি। আমি নিজের গাড়ি সাইড করে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যাই। পিছনে বসে থাকা দুজন ব্যক্তি চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করছিলেন। সেই সময় গাড়ির পেছনের সিএনজির ট্যাংক থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। এর পরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তাতে পুড়ে মারা যান সকলে। আগুন এতটাই জোরালো ছিল যে গাড়ির দরজা খোলা যায়নি। পুলিশ এসে আগুন নেভায়। এবং গাড়িটিকে ক্রেনের সাহায্যে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কিভাবে মৃতদের শনাক্ত করা হল?
ঘটনাস্থল থেকে যেকটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়। সেই মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার এবং সিম কার্ড থেকে মৃতদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতদের মোবাইলের সিম কার্ড থেকে পাওয়া তথ্য থেকে অন্য ফোনে লাগিয়ে সিম কার্ড লাগিয়ে পরিবারের ফোন করা হয় এবং তাদের এই দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। মোবাইল ও সিম কার্ড থেকেই মৃতদের পরিচয় পাওয়া যায়।”