নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট(Lok Sabha Vote 2024), তার তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের(Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। অতএব এবার লোকসভা নির্বাচনে আরাবুলকে(Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক (কনভেনর) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আরাবুল ইসলামকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক নেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।
এ প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা(Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে। এখন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের(TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। এখন আরাবুল ইসলাম দলের কোনও পদে নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি উনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”
আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে(Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই নেতার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের(Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন আরাবুল। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ সভাপতি থেকেছেন। এরপর ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। ফলে ২০১৮ সালে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।