এক মাসে বাজেয়াপ্ত দুশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি
Lok Sabha Election 2024, General election, bomb, election commission, state police, west bengal, state news, madhyom, news in bengali, bengali news
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের আবহ। আর ভোট আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা। ভোটের(Lok Sabha Election 2024) মুখে গত এক মাসে বাংলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি বোমা। নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে বোমার পাশাপাশি বহু বিস্ফোরক পদার্থও উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি। ফলে ভোটের দোরগোড়ায় এসে প্রতিনিয়ত রাজ্য থেকে এমন বেআইনি জিনিস উদ্ধারের খবরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ২৩৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু নগদ টাকার পরিমাণই ১৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ২২ লক্ষ ১৫ হাজার ২৭ লিটার মদ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ২৭ কোটি টাকার বাজারমূল্যের ৬,৫৫৩ কেজি মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে রাজ্য পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০০৪টি বোমা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করেছে ৪১.৩৬ কেজি বিস্ফোরক সহ ৩৭৮টি অস্ত্র ও ৫৪৩টি কার্তুজ।
তবে কেবলমাত্র নগদ টাকা, মদ কিংবা বোমাতেই থেমে নেই, কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,বোমা ও কার্তুজের পাশাপাশি বাংলা(West Bengal) থেকে ১৬৯.৮১ কেজি মূল্যবান ধাতু উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বাজারমূল্য ৩৪.২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়াও উপঢৌকন হিসাবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৬২টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির বাজারমূল্য ৫২.৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৮টি অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৫৩.৫১ কোটি টাকা।
অতএব বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের(Lok Sabha Election 2024) আগে বেশ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে রাজ্যকে মুড়ে রেখেছে নির্বচন কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধিরা। আর তাদের সঙ্গে সঙ্গ দিতে পিছিয়ে নেই রাজ্য পুলিশও(state police), ভোটের আগে বা ভোট চলাকালীন যাতে কোনও রকম অশান্তির ছায়া রাজ্যের ওপর না পড়ে সেই দিকে সব সময় সজাগ হয়ে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) আধিকারিকরা।