নিউজ ডেস্ক: উদয়ন গুহ যেখানে যাচ্ছেন অশান্তি পাকাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও হামলা করানো হচ্ছে। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগের সুরে বললেন কোচবিহারের (Coochbehar) বিজেপি প্রার্থী (BJP) নিশীথ প্রামানিক (Nisith Pramanik) ।
শুধু কোচবিহারে নয় উত্তরবঙ্গের অন্যান্য কেন্দ্রেও উঠেছে রিগিং ও অনিয়মের অভিযোগ।
এদিন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) লোকসভা কেন্দ্রের ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বৈরাতিগুড়ি হাইস্কুলে ভোট কেন্দ্রে যান বাসন্তী দাস। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৫/১৮৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তিনি নাকি খাতায় কলমে মৃত। তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেছে।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমাকে বলেছে আমি নাকি মরে গেছি। আমার নাম কেটে দিয়েছে ওরা। ভোট দিতে দেবে না বলে মৃত দেখিয়ে দিল।”
ওই মহিলা জানান প্রিসাইডিং অফিসার তাঁকে বলেছেন, তার কিছু করার নেই। ভোটার তালিকায় নাম নেই। ডিলিট হয়ে গেছে। তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি। তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলেন, “ মা একা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে বলে তোমার নাম নেই। তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায় নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব। মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হল জানি না।”
বাসন্তী দেবী জানান তিনি সকাল সাতটা নাগাদ ভোট দিতে গেছিলেন। দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভোট দিতে পারি নি। এর পর প্রিসাইডিং অফিসার বলেন আপনার নাম বাতিল হয়ে গেছে। এবছর কিছু হবে না। পরে দেখা যাবে। এখন কিছু হবে না। উনি কাকে যেন ফোন করলেন তবু কিছু হল না।”
প্রসঙ্গত এরকম একাধিক অভিযোগ উঠেছে তিন কেন্দ্রেই। বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এমনকি বিরোধী দলের এজেন্টকেও বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।