নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে শীতলকুচি। গণতন্ত্রের উৎসবে রেহাই পেলেন না সাধারন ভোটারও। লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ‘রক্তারক্তি কাণ্ড’ শীতলকুচিতে (Sitalkuchi), ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত ভোটার(Voter)। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোট দিতে আসাই যেন কাল হল শীতলকুচির ওই বাসিন্দার।
জানাগেছে শুক্রবার সকালে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক ভোটার। হঠাৎই অতর্কিতে হামলা। দুষ্কৃতীদের আঘাতে চোখ ফেটে যায় ওই ভোটারের। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ক্ষত গভীর। আপাতত ওই ব্যাক্তির চোখে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
ছেলের এই অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে মায়ের। ভোট দিতে এসে এভাবে আক্রান্ত হতে হবে ভাবেননি তারা। আক্রান্ত ওই ব্যাক্তিবলেন, ‘আমরা তো চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কিন্তু সেটা আর ওঁরা কোথায় হতে দিল! ভোট দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়, মার খায়!’
এ প্রসঙ্গে আক্রান্ত ভোটার বলেন, ‘আমি সকালবেলা ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখন ভোট কাউন্টার খোলেনি। আমি ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। কাউন্টার খোলার পর আমরা ভোট(Vote) দিই। বাড়ি ফেরার সময় পিছনে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাই। তৃণমূলের(TMC) লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আওয়াজ শুনে পিছন ফিরে দেখি পাথর ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সেই পাথর এসেই আমার চোখে লাগে।’ তৃণমূলের লোকেরাই সেই পাথর মেরেছে বলে দাবি করেন আক্রান্ত ভোটার। এছাড়াও তিনি জানান, তাঁকে পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী(CRPF) কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।
প্রসঙ্গত,একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেন্দ্র। চলেছিল গুলি। আর সেখানেই এবার ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত হল ভোটার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মরশুমে এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে এলাকায়।
কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটল , কোথায় ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা? কেন এগিয়ে এল না কেন্দ্রীয় বাহিনী তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।