নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার যখন প্রথম দফা লোকসভা নির্বাচন চলছে ঠিক সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের (balurghat) বোল্লা মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন। এদিন মালঞ্চা বাজার সহ কুমারগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta majumdar) ।
ভোট প্রচারে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমাধব এলাকায় যান প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এদিনের যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “চকমাধব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে। গ্রামবাসিন্দারা সমস্যায় পড়ত।যার ফলে একবার ভোট বয়কটর ডাক দিয়েছিলো গ্রামবাসীরা। রাস্তার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এদিন ভোট প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন গ্রামবাসীরা।
প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ আজ বোল্লা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে বালুরঘাট ব্লকের ভোট প্রচার শুরু করলাম। প্রচারে লোকের উৎসাহ দেখে বুঝতে পারছি জয় নিশ্চিত। বালুরঘাট ব্লকের চকমাধব গ্রামে প্রচার করতে এসে প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। কারণ তাঁদের গ্রামে যাবার রাস্তা বেহাল। আমি তাঁদের আশ্বাস দিলাম আমি জেতার পর সর্বপ্রথম এই রাস্তাটি সংস্কার করব।
প্রসঙ্গত এদিন ছিল প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফাতেই অশান্তি শুরু।
শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপি নির্বাচনী বুথে আগুন সহ তিন জেলার অশান্তি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোটে তৃণমূল কিছু করবে না এটা হতে পারে না। সেই জন্য বারবার বলছি এই সিইও থাকলে নিরপেক্ষ ভাবে ভোট সম্ভব নই। এই সিইও উস্কানিমূলক আচরণ করছে। ওনাকে সাসপেন্ড করা দরকার। সেনসেটিভ জায়গাগুলোতে কমপক্ষে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া দরকার ছিল ও তাদের শুট এন্ড সাইটের অর্ডার দেওয়া দরকার ছিল।”