নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচন(Lok sabha vote 2024),আর এরই মধ্যে ভাঙড়ে হৈচৈ কাণ্ড। শওকত মোলার(Saokat Molla) নামে পড়ল পোস্টার। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার গ্রেফতারির দাবিতে কলকাতা পুলিশের(Kolkata police) পোলেরহাট থানা এলাকায় শ্যামনগরে পড়ল পোস্টার। ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সাদা কাগজে কালো কালিতে কম্পিউটার প্রিন্টের পোস্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোস্টারে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে(Bhangar) সন্ত্রাস করে খুন করল, সেই খুনের দায়ে আরাবুল(Arabul Islam) জেলে,শওকত মোল্লা বাইরে কেন? প্রশাসন জবাব দাও!’ এর পাশাপাশি আরও লেখা রয়েছে , ‘জনগনের প্রকল্পের টাকা চুরি করে নেতা মন্ত্রীরা সব জেলে কেন?কয়লা কাণ্ডের অভিযুক্ত শওকাত মোল্লা জবাব দাও।’এর পাশাপাশি শওকতকে ভাঙড়ে বোমা-গুলির ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলেও পোস্টারে কটাক্ষ করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা-‘মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা, গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার ভাঙড়ে ঠাঁই নাই।’
তবে রাতের অন্ধকারে কে কা কারা ওই পোষ্টার(posters) লাগাল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কেউ দিল, নাকি শাসক দলে শওকতের কোনও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ এটা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর৷ কারণ, পোস্টারে কারও নাম না থাকলেও একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শুধু শওকতকেই ৷
এ প্রসঙ্গে শওকত বলেন, “আমি জানি না কারা এই সব করছে। পক্ষের লোক নাকি বিপক্ষের লোক। তবে যারাই করছে তারা আমাদের আশীর্বাদ করছে। দোয়া করছে। কারণ এইসব করলে তৃণমূল(TMC) আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ভাঙড়ের মানুষ মিথ্যাকে কখনও প্রশ্রয় দেবে না।”
এই পোস্টার পড়া নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “যারা পোস্টার মারছে তারা আমাদের আর্শীবাদ করছে। যত এমন করবে ততবেশি এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী হবে।”
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জমি কমিটির আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত। তবে আইএসএফ শ্যামনগর এলাকায় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় শওকতের(Saokat Molla) বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানোর পিছনে জমি কমিটি নাকি আইএসএফ যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।