নিউজ ডেস্ক: আবারও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা। এবারে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরের একটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় মন্দিরের পাশে নির্মাণ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের উপর।
ফরিদপুরের (Faridpur) মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে রয়েছে একটি কালী মন্দির (Kali Temple )। মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানেই শৌচাগার নির্মাণের কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁরা দেখেন মন্দিরে আগুন লেগে গেছে।
জানা গেছে, এর পরই কয়েকশ উন্মত্ত জনতা স্কুলে থাকা ওই শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ওই শ্রমিকরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান তালুকদার জানান, ওই ঘটনায় দুজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। হামলার পরেই আহতদের নিয়ে আসা হয় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। এই ঘটনায় হতাহতরা সবাই মধুখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন, “খবর পেয়েই আমরা সেখানে আসি। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। পরে পুলিশ এবং প্রশাসনের এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
কিন্তু ওই মন্দিরে কীভাবে আগুন লাগলো,নাকি কেউ সেখানে আগুন লাগিয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সেখানের পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম। তবে সেখানে যাতে আর নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বিজিবি (Border Guard Bangladesh-BGB)।