নিউজ ডেস্ক: গুজব ছিলই। সেই গুজবে শান দিলেন সদ্য রাজনীতিতে আসা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit gangopadhyay) । বললেন ভোটের পর নাকি পদ ছেড়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । মুখ্যমন্ত্রী (CM) হবেন তাঁর নিকট আত্মীয়। এই নিকট আত্মীয় যে কে তার বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু রতুয়ার (Ratua) সভা থেকে সেই কথা নিজ মুখে বলেন নি অভিজিৎ। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল হবে? প্রশ্নটা বিজেপি নেতার তরফে ভাসিয়ে দেওয়া হলেও তৃণমূল এই ইস্যুতে এখনও চুপ।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে যে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ২৫ টা সিট বিজেপি (BJP) পাচ্ছে। এ খবর শুধু আমরা নয় রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর (IB Report) নিঃসন্দেহে নির্লজ্জ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের কাছে যে খবর আছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের (Resign) তোড়জোড় করছেন। কারণ এই চুরির মক্ষীরানির পক্ষে আর সম্ভব নয় এই রাজ্য চালানো। তিনি একজন চুরির রানী হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তাকে এখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করতেই হবে। আর এই জায়গায় তিনি একজন চুরির রাজাকে বসিয়ে দিয়ে যাবেন। যিনি তার নিকট আত্মীয়। এভাবে তিনি হিমালয়ে চলে যাবেন। আর বাকি চুরিটা তার আত্মীয় করবে।”
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ এক বছর থেক বিভিন্ন মঞ্চে তার অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছেন। স্পেনে গিয়ে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই বাড়িতে পড়ে যান। তিনি আঘাত পান মাথায়। বাম জমানাতেও বহুবার তিনি চোট আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করে এসেছেন নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে। সম্প্রতি কয়েকবার তিনি বলেছেন তার হাঁটতে কষ্ট হয়। লড়াকু মনোভাব যার ইমেজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে অসুস্থতার কথা তুলে ধরায় রাজনৈতিক মহলে ধারণা এভাবে নিজের অবসরের পথ মসৃণ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে দল এবং প্রশাসনে তার অবসরের পরেও নতুন মুখকে মেনে নিতে কোন অসুবিধা না হয়।
তবে এই নতুন মুখ কে হতে পারেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দলনেত্রীর পর দলের সেনাপতি যে নতুন মুখ হবেন সেই ইঙ্গিত রয়েছে দলের অন্তরেও। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এখনও এবিষয়েও কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বনাম বিজেপি সমানে সমানে টক্কর হতে চলেছে একথা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমূল নেতারাও। তাই প্রচারে কোন খামতি করছেন না তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানপ্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচারে। সরকারি প্রকল্প তুলে ধরে মানুষের মন জেতার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীরাও ।
পাল্টা বিজেপি হাতিয়ার করছে কর্মসংস্থানের অভাব, পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ও সন্দেশখালীর ঘটনা।
রতুয়ার সভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “তৃণমূলের দালালরা ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞেস করবেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল সরকার দিয়েছিল সেগুলি কোথায়। এদিকে সন্দেশখালীর ইস্যুকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী সভার নাম দেওয়া হয়েছে নারী শক্তি সম্মান সম্মেলন।