নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন ভোটারদের বিশেষ ‘পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা প্রশাসন। সকাল সকাল ভোট (Lok Sabha elections) দিলেই ভোটারদের জিলিপি,পোহা,আইসক্রিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইন্দোরে (Indore), মঙ্গলবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস সিংয়ের সভাপতিত্বে দোকান মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের মালিকদের মতে, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করা।
উল্লেখ্য আগামী ১৩ মে দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রয়েছে ভোট। তালিকায় রয়েছে ২৫.১৩ লক্ষ ভোটারের নাম। আর এই ভোটে যাতে সকলেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী হয় তার জন্য এমন অভিনব চিন্তা ভাবনা করেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। আসলে অনেকেরই এটা প্রথম ভোট, আবার কেউ কেউ আছেন বার্ধক্যের জন্য ভোট দিতে আসেন না। তাই সেই সমস্ত সাধারন ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশিস সিং।
এ প্রসঙ্গে আশিস সিং বলেন, “আমরা ভোটের দিক থেকে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রকে দেশের এক নম্বর করতে চাই এবং এর জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।” শহরের বিখ্যাত ফুড হাব “৫৬ দুকান” এর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গুঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন যে ভোটের দিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে যারা ভোট দেবেন তাদের শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত জায়গায় বিনামূল্যে পোহা এবং জিলিপি পরিবেশন করা হবে। সঙ্গে থাকবে ফ্রিতে আইসক্রিম। তবে বিনামূল্যে খাবার পেতে অবশ্যই ভোট দান করে আঙুলের কালির দাগ প্রমান হিসেবে দেখাতে হবে। তবেই মিলবে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আইসক্রিম ও গরম জিলিপি। তাছাড়া সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোনও ভোটার ভোট দিলেই তাঁদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে চাউমিন এবং মাঞ্চুরিয়ান।
কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ইন্দোরের (Indore) বিখ্যাত ফুড হাব ‘৫৬ দুকান’-এর দোকানের মালিকরা গত বছরও এমন নিয়ম রেখেছিলেন। যারা সকাল সকাল প্রথম দিকে ভোট (Vote)দিতে এসেছিলেন সেই সব ভোটারদের পোহা এবং জিলিপি সহ বিনামূল্যে স্ন্যাকস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ইন্দোরের পাশাপাশি ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লিতেও। জানা গেছে দিল্লি (Delhi) মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ভোটের দিনে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং বাজারে বিভিন্ন জিনিসের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অনুমান এই সিদ্ধান্তে হয়তো কিছুটা হলেও ভোটাররা অনুপ্রাণিত হয়ে ভোটাধিকার গ্রহণ করবেন।