নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) পর এবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুষ্ঠানেও দুষ্কৃতীদের হামলা। রামনবমীতে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হামলা হয়েছিল। হনুমান জয়ন্তীতে ঘটনাস্থল বীরভূম (Birbhum) জেলায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার সিউড়ি (Siuri) বিধানসভার বারুইপুর গ্রামে হরিসভা চলাকালীন হনুমান মন্দিরে হামলা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুষ্কৃতী জনৈক রমজান ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি (Molestation) ও মারধর করার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
ঠিক কী হয়েছিল:
জানা গেছে এদিন সন্ধ্যায় বারুইপুর গ্রামের হনুমান মন্দিরে সন্ধ্যার সময় হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামেরি এক দুষ্কৃতী রমজান তাঁদের ভাই ও সাগরেদদের নিইয়ে এসে হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করতে বলে।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের রীতি হিসেবে চলে আসা সংকীর্তনে রমজানের কী সমস্যা জানতে চাওয়া হলে সে বলে বন্ধ করতে বলেছি তাই বন্ধ করতে হবে। কার সমস্যা কী সমস্যা সেসব পরে হবে। রমজানের গা জোয়ারি কথায় প্রতিবাদের এগিয়ে আসেন সংকীর্তনের উপস্থিত মহিলারা। রমজান। তাঁর ভাই ও দলবল মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করে। কয়েকজন জুতো পড়ে মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। মহিলা ও পুরুশ সকলে প্রতিবাদ করে তাঁদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের পদক্ষেপ:
এর পর গ্রামবাসীরা পুলিশকে ফোন করে। কিন্তু পুলিশ আসতে দেরী করে বলে অভিযোগ। ধরপাকড়ের নামে মাত্র দুজনকে পুলিশ পাকড়াও করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
এর পর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শান্তি রক্ষার্থে গ্রামে উপস্থিত হন। তাঁরা স্থানীয়দের কোন প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেন। এবং গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে বলেন।
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ পাশেই একটা ফাঁড়ি আছে। কিন্তু ফাঁড়ি দুষ্কৃতীদের ধরবে কী ওটাই অসামাজিক কাজের আখড়া। দুজনকে ধরেছে বলেছে। আমাদের দাবি, “এফআইআর দায়ের করে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। দারসারা তদন্ত করলে চলবে না। আগেও এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথার জন্য কিছু দুষ্কৃতি সাহস পেয়েছে। এই পরিস্থিতি বাংলার জন্য ক্ষতিকারক।”