নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়ে
(Chattishgarh) টানা মাও দমন অভিযান অব্যাহত। এবার আধা সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হল ১২ জন
মাওবাদী। এদের মধ্যে কয়েকজন মাও দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা। মাওবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে
আধা সেনার কোন ক্ষতি হয়নি ।
বিজাপুর জেলার গঙ্গলুরে মাও অধ্যুষিত
এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী
শুক্রবার দুপুরে ছত্রিশগড়
(Chattishgarh)
রাজ্যের বিজাপুর জেলার গঙ্গলুরে মাও অধ্যুষিত
এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী। অভিযানে ১২ জন মাওবাদীর (Maoist
News) মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করেছেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী
বিষ্ণুদের সাঁই (Vishnudev Saai) । সংবাদ
সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিষ্ণুদেব
সাঁই বলেন,“বিজাপুর জেলার গঙ্গলুর
এলাকায় পিড়িয়া থানা এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি
বিনিময় হয়েছে। সেনাবাহিনী এই অভিযানে সাফল্য পেয়েছে। ১২ জন মাওবাদীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাহিনীর কারও ক্ষতি হয়নি। জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চলছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক বাহিনীর
সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সরকারের আসার পরেই এই
মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত শাহ ছত্রিশগড়ের মানুষকে এই মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”
চলতি বছর শতাধিক মাওবাদী খতম (Chattishgarh)
প্রসঙ্গত চলতি এপ্রিল
মাসে পুলিশ এবং আধা সেনার যৌথ অভিযানে ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh) বস্তরে ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল। সরকারি সূত্রের দাবি চলতি বছর প্রথম সাড়ে চার মাসে সারা দেশে শতাধিক
মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে মাওবাদ
দমন অভিযানে বড় সাফল্য মনে করছে আধা সামরিক
বাহিনী। বর্তমানে মোদি জামানায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
তাতে সশস্ত্র মাও দলে ভর্তি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপর এক
ধাক্কায় শতাধিক মাওবাদিনি নিকেশ ওই
জঙ্গি দলের জন্য বিশাল বড় ধাক্কা। ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh)
যে কটি এলাকায় রয়েছে মাও সমস্যা রয়েছে তাঁর মধ্যে
বিজাপুর অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মাওবাদী
কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর পাচ্ছিল বাহিনী। এর পরেই তাদের নিকেশ
করতে অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।
মোদি জমানায় মাও দমনে সাফল্য
মাওবাদ সমস্যার জেরে
ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh) গ্রামের সাধারণ
মানুষ বিশেষ করে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি
জনজাতির মানুষরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একসময়
দুদিক থেকে চাপ আসত তাঁদের উপর।মাওবাদীদের সাহায্য না
করলে কিংবা পুলিশকে খবর দিলে মাওবাদীরা গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার
করত। আবার মাওবাদীদের সাহায্য করলে পুলিশ তাদের উপর অত্যাচার
করতে বলে অভিযোগ উঠত। এর জেরেজন্ম নেয় সাওলয়া জুড়ুম।
পরে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা তৈরি হয়। সেসব অবশ্য মোদি জমানায় অতীত।
কমছে মাও অধ্যুষিত এলাকা
এখন মাওবাদীরা গ্রামে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ কম পাচ্ছে। জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকতে
হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু জঙ্গলে থেকেও
রেহাই নেই। টানা পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী তাদের খুঁজে
বেড়াচ্ছে। এবং যেখানেই পাচ্ছে নিকেশ করছে। মোদি জামানায় রেড ডিস্ট্রিক্ট (Red District) অর্থাৎ মাও
অধ্যুষিত অঞ্চলের পরিধি কমছে।