নিউজ ডেস্ক: পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা হলে এসএমএসে উত্তর পাঠিয়ে সিআইডির জালে
দুই আধিকারিক। ছাত্রদের টোকাটুকির (PSC Scam) বরাত নেওয়া ধৃত
সরকারি কর্মকর্তারা হলেন শঙ্কর বিশ্বাস
ও পাপাই দাস। ধৃতদের নদিয়া জেলার দুই আলাদা ঠিকানা থেকে
সিআইডির গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছেন। ধৃতদের মধ্যে একজন
গোটা দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদের কাছ থেকে
১১ টি মোবাইল ফোন ও একাধিক ব্যাংকের পাসবুক সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নতুন ছকে নিয়োগ দুর্নীতি
জানা গিয়েছে যেহেতু
সরকারি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে নম্বর পাওয়ার দিন অতীত হয়েছে তাই (PSC Scam) দুর্নীতির
নতুন ছক কষা হয়। যে সকল পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিল হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের
উত্তর পৌঁছে দেওয়ার ঠিকা নিয়েছিলেন এই সরকারী কর্মীরা। রাজ্যের ফুড
সাব-ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপরেই
তদন্তে নামে রাজ্যের সিআইডির গোয়েন্দারা। সিআইডির কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল
রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের ফুড এস আই পদে নিয়োগের পরীক্ষায় টোকাটুকি হয়েছে। পরীক্ষার হলে এসএমএস–এর মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর
পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে
সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর থেকে এরপরেই নদিয়ার কল্যাণী থেকে শঙ্কর বিশ্বাস এবং ধুবুলিয়া থেকে
পাপাই দাসকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতার
সার্ভে পার্ক থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার
সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খাদ্য দফতরের পরীক্ষাতেও দুর্নীতি! (PSC Scam)
এছাড়াও পিএসসি
পরীক্ষায় একাধিক (PSC Scam) দুর্নীতির অভিযোগ
সামনে এসেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে প্রিন্সিপাল
একাউন্টেন্ট জেনারেলের সিনিয়র অডিটর শঙ্কর বিশ্বাস কীভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হলেন। রাজ্যে প্রভাবশালীদের দুর্নীতির সঙ্গে
যোগ কিছুতেই থামাতে পারছে না প্রশাসন। একইসঙ্গে শঙ্করের সঙ্গে আর কাদের যোগ ছিল সেই বিষয়গুলিও সামনে আসা দরকার। জানা গিয়েছে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে
পেয়েছে সিআইডি। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি এবার যে খাদ্য দফতরের
প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন সেই দফতরেও পুনরায় দুর্নীতির
ঘটনার সামনে এল। এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে রাজ্য থেকে কি দুর্নীতি
কোনদিনও দূর হবে না।