নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বহরমপুরের (Murshidabad) গোয়ালজান এলাকা। ভোট-পরবর্তী সময়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই, গতকাল রাত্রি বেলায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং বাড়ির মহিলাদের ব্যাপক মারধর করে। আবার এই পঞ্চায়েত এলাকা, আগে থেকেই বিজেপির দখলে ছিল, এইবার লোকসভাতে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। ফলে তৃণমূল রাজনৈতিক হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এদিন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল, দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। একই ভাবে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্র অশান্তির খবর উঠে আসছে।
ঘটনা কিভাবে ঘটল (Murshidabad)?
স্থানীয় সূত্র খবর, বেশ কিছুদিন আগে এই এলাকায় এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গতকাল রবিবার রাতে তাকে ঘিরে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পোস্টে দেখা যায় সেখানে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এরপরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে গোয়ালজান (Murshidabad) এলাকার জলকালী ক্লাব পাড়ায় বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। চলে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। একই সঙ্গে একাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে খবর দিলে গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। রাস্তায় এখনও লেগে রয়েছে বোমার দাগ। আবার পরের দিন সোমবার এই এলাকায় গঙ্গাপুজো ছিল। তাকে ঘিরে মন্দিরের আশেপাশে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। যদিও ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য
অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, “এই এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল পরিমাণের লিড পেয়েছে। আর তাই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। গঙ্গাপুজো উপলক্ষে রিফিউজি ফেরিঘাটের (Murshidabad) পাশে প্রতিবছর একটি বড় পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই পুজোকে বানচাল করতে তৃণমূলের গুন্ডারা বিভিন্ন রকমভাবে আক্রমণ করে। জলকালী ক্লাবের সামনে বিজেপি সমর্থকরা যেতেই তৃণমূলের লোকেরা বোমাবাজি করে। পুলিশকে খবর দিলে উল্টে তৃণমূলের হয়ে বিজেপি কর্মীদেরই ব্যাপক মারধর করে।”
তৃণমূলের বক্তব্য
বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করে জেলা (Murshidabad) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করতে এই ধরনের কথা বলছে। তৃণমূলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির অন্দরে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।